অবশেষে ১১ দিন পর মামলা রেকর্ড, আদমদীঘিতে শ্রমিকলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমুকে দিনের বেলা ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা ঘটনার পর নানা অজুহাতে মামলা নিতে বিলম্ব করার পর অবশেষে পুলিশ ১১ দিন পর গত সোমবার (৩ জুলাই) থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
আহত শ্রমিকলীগ নেতার স্ত্রী আদমদীঘির নিমাইদীঘি গ্রামের ইয়াসমিন আক্তার ঝুমা বাদি হয়ে একই গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে আজিজ সরদার (৩৫) ও তার ভাই দুলাল সরদার (৩২) কে আসামী করে এই মামলা দায়ের করেন। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি।
এজাহার সুত্রে জানাযায়, আদমদীঘির নিমাইদীঘি গ্রামের আসাদুর রহমান তার নামীয় জমি বিক্রির জন্য তার বন্ধু একই গ্রামের শ্রমিকলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমুকে দায়িত্ব দিলে তার আজিজ সরদারের সাথে কথা হয়। তার সাথে দামে না মেলায় জমির মালিক আসাদুর রহমান জমিটি অন্যত্র বিক্রি করেন।
এদিকে আজিজ সরদার শ্রমিকলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমুর কারনে জমিটি কিনতে না পেরে হাত ছাড়া হয় সন্দেহ করে তার ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়।
গত রোববার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১২টায় শ্রমিকলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমু বাড়ি থেকে ছাতিয়ানগ্রাম রেলগেট এলাকায় চায়ের দোকানে যাবার সময় আসামীরা জনৈক দুলালের দোকানের সামনে ওই জমি নিয়ে আজিজ সরদারের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি আমিনুল ইসলাম আমুকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করে। তাকে জখম অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। আমিনুল ইসলাম আমু জানায়, ঘটনার পর থানায় এজাহার দেয়া হলেও নানা অজুহাতে মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ।
অবশেষে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার মামলাটি রের্ডভুক্ত করা হয়। মামলার আসামী আজিজ সরদার জানায়, ঘটনার দিন তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির সময় তার মোটরসাইকেলের চাবি আমিনুল ইসলাম আমুকে লেগে আহত হয়। মামলার তদন্তকারি উপ পরিদর্শক তারেক হোসেন মামলা রেকর্ড করা বিষয় বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেফতারে তৎপরতা চলছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.