চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাই নাটকের অবশেষে অবসান হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অস্ত্রধারী যুবক মাহাদী নিহত হয়েছেন। তার বয়স আনুমানিক ২৫/২৬ বছর।
আজ রোববার রাত পৌনে নয়টায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে সেনা বাহিনীর চট্টগ্রাম জোনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে একটা বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিলো। এই ছিনতাই নাটকের অবসান হয়েছে সফলভাবে। আজ বিকাল পাঁচটা ৩৩ মিনিটে আমাদের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিমানবাহিনী জানতে পারে যে, বিমানটি হাইজ্যাক হয়েছে। ককপিট থেকে আমাদের পাইলট এটি জানান। বিমানটি পাঁচটা ৪১ মিনিটে এখানে অবতরণ করে। এরপর এখানে নিয়োজিত বিমান বাহিনী এবং অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনীর সমন্বয়ে ইমার্জেন্সি পদক্ষেপ নেয়া হয়।’
ছিনতাইকারী একজন বলে জানানো হয় ব্রিফিংয়ে।
তিনি বলেন, ‘ছিনতাইকারীকে নিভৃত করার জন্য আমাদের কমান্ডো বাহিনী প্রথমে তাকে আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান জানায়। কিন্তু সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে সে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করলে তার ওপর স্বাভাবিক অ্যাকশন যেটা, সেটাই হয়েছে। আমাদের সাথে গোলাগুলিতে ছিনতাইকারী প্রথমে আহত এবং পরবর্তীতে মারা যায়।’
এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোন যাত্রী হতাহত হননি বলেও জানান মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।
কেনো এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি? এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, এই অল্প সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে যতটুকু কথোপকথন হয়েছে, সে শুধু একটি দাবিই করেছিল। সে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলো এবং তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে চেয়েছিলো। এরপর আর তার সাথে কোনো কথা বলার সুযোগ আমাদের ছিল না, যেহেতু দ্রুততর সময়ে এই ছিনতাইয়ের অবসান ঘটাতে চেয়েছিলাম।
তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা বলতে চেয়েছিলেন সেটি জানতে পারেনি অভিযান চালানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার পরিবার সম্পর্কেও জানা যায়নি।#
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.