অবশেষে ফজলি’র জি.আই স্বীকৃতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর

বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: অনেক জল্পণা কল্পনা শেষে অবশেষে ফজলি আম কাউকেই নিরাশ না করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী উভয় জেলার ফজলি জি.আই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে শিল্প মন্ত্রনালয়ের ডিজাইন, পেটেন্ট ও ট্রেড মার্কস বিভাগের রেজিষ্টার জানেন্দ্রনাথ সরকার এ ঘোষণা দেন।
রেজিষ্টার বিকেল সাড়ে ৪ টায় রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ এ ২ জেলাকেই ফজলি আম নিজেদের বলে দাবী করে জি.আই ট্যাগ করতে পারবে বলে ষোষণা দেন। এর আগে একই দিন সকাল ১০ টায় রাজশাহী জেলা তাদের পক্ষে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নিজেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে।
শুনানীতে রাজশাহীর পক্ষে অংশ নেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলিম উদ্দিন, গবেষক শরফ উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।
অন্যদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে লেখক ও গবেষক জাহাঙ্গীর সেলিম, এ্যাডভোকেট আবু হাসিব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক শহিদুল ইসলাম, এ্যাডিসনাল সেক্রেটারী মো: আমিনুল ইসলাম এবং আবেদনকারী কৃষি এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মুনজের মানিক অংশ নেন। শুনানীতে অংশগ্রহনকারী জাহাঙ্গীর সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রায় ঘোষণার পর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী উভয় জেলাই ফজলি আম কে নিজেদের মেধাস্বত্ব হিসেবে দাবী করতে পারবে।
এদিকে, আবেদনকারী মুনজের আলম মানিক এ বিজয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাসীর ঐক্যবদ্ধ চেষ্টার বিজয় দাবী করে আরও বলেন, শুনানীর ফলাফল লিখিত আকারে আগামী রবিবার পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন ভৌগলিক পণ্য নির্দেশক হিসেবে রাজশাহীর বাঘা ফজলি নামে ফজলি আমের উৎপত্তিস্থল ও এর জীবনচক্র রাজশাহীর দাবী করে আমটির পূর্ব ইতিহাস তাদের পক্ষে উল্লেখ করে এর মধাস্বত্ত দাবী করে পণ্য ব্যবহারকারীর নিবন্ধনের জন্য ১৫ নম্বর আবেদন করেন ২০১৭ সালের ৯ মার্চে।
বিষয়টি জানার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মো: মুনজের আলম মানিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পক্ষে ফজলি আম কে রাজশাহীর ভৌগলিক পণ্য নিবন্ধনের বিরোধীতা করে চলতি বছরের ১ মার্চ একটি মামলা দায়ের করেন। যার স্মারক নং-জি আই / অপজিশন মামলা নং-১/২০২১/২২০।
ক্ষিরশাপাতের পর এবার রসালো, আঁশবিহিন, আকারে বিশাল ফজলী আমের ভৌগলিক নির্দেশক (জি আই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির দাবি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সে সাথে ফজলি আম জিআই পণ্য হিসেবে রাজশাহী জেলার পক্ষে নিবন্ধনের বিরোধিতা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পক্ষে নিবন্ধনের দাবিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিজাইন, পেটেন্ট ও ট্রেড মার্কস বিভাগে একটি আপত্তি দাখিল করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস বিভাগ এই আপত্তির যৈক্তিকতা বিবেচনা করে ২৪ মে উভয়পক্ষের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিলো।
এছাড়া, বাংলাদেশের নয়টি পন্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জি আই) বা ভৌগলিক নির্দেশক হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারী স্বীকৃতি পায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষিরসাপাত আম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.