অবশেষে দুর্গন্ধের লাগাম টানতে যাচ্ছে সোনাইমুড়ী পৌরসভা

সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নোয়াখালী সোনাইমুড়ী পৌর এলাকার বাসিন্দারা। সোনাইমুড়ীতে মডেল মসজিদের সামনে চাটখিল-সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
এতে পথচারী,মডেল মসজিদের মুসল্লি,শিক্ষার্থী ও যানবাহনের যাত্রীদের দুর্গন্ধ সহ্য করে এই এলাকা পার হতে হয়। ফলে বায়ুদূষণের কারনে বিভিন্ন রোগ-জীবাণুতে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিভিন্ন সময় স্থানীয়রা অভিযোগ করে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কের পাশে দিনের পর দিন বর্জ্য ফেলা হলেও সংশ্লিষ্টরা তা সরাতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সবুজ হোসেন নামের এক বাসিন্দা জানান,“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে একটা মডেল মসজিদ তৈরি করে দিয়েছেন কিন্তু ময়লার গন্ধে মসজিদে যাতায়াত ও নামাজ আদায়ে অসুবিধা হয়। ইতিমধ্যে এখানে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রশাসনকে কয়েকবার বলেছে কিন্তু কোনো উদ্যোগ দেখিনি”।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সোনাইমুড়ী পৌরসভার কৌশল্যার বাগ এলাকার পাশে বিশাল ময়লার ভাগাড়টিতে সোনাইমুড়ী পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ময়লার গাড়ীতে করে আবর্জনা রাখছে এই ভাগাড়ে। ছড়িয়ে পড়া দুর্গন্ধে নাক চেপে চলাচল করছে পথচারীরা। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে এলাকার বাসিন্দারা।
আমিনুল ইসলাম নামের এক মুসল্লি বিটিসি নিউজকে জানান,এ মসজিদে প্রতিদিন অসংখ্য মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষজনও নামাজ আদায় করেন। অথচ এই মসজিদের সামনেই ময়লার ভাগাড়। অপরিকল্পিত এত বড় ময়লার ভাগাড়ের কারণে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সময়েও পোহাতে হয় দুর্গন্ধের ভোগান্তি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দুর্গন্ধ সহ্য করে যেতে হয় স্কুল মাদ্রাসায়।
তাহমিনা আক্তার নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বিটিসি নিউজকে বলেন, দুর্গন্ধের কারণে চলাফেরা করতে খুব অসুবিধা হয়। আমরা নিশ্বাস নিতে পারি না। আমরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। কর্তপক্ষ যদি সুদৃষ্টি দেয় তাহলে আমাদের সবার জন্য ভাল হয়।
তবে আশার কথা জানান সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র নুরুল হক চৌধুরী বিটিসি নিউজকেকে তিনি জানান,“পৌরসভার সৃষ্টি থেকেই ময়লা ফেলার কোনো নির্ধারিত স্থান ছিলো না। ময়লার স্থান পরিবর্তন করা আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল। আর মহাসড়ক ও মসজিদের সামনে ময়লা ফেলা হবে না। ফলে তখন মানুষের ভোগান্তি থাকবে না।
ইতোমধ্যে পৌর এলাকার পাশে বগাদিয়া এলাকায় প্রায় দেড় একর জায়গার উপর সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যায়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। খুব দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। নোয়াখালী একমাত্র পৌরসভা হিসেবে আধুনিক এই প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে রিসাইক্লিং করে জৈব সার উৎপাদন করা যাবে। ফলে সোনাইমুড়ী পৌরসভা হবে নোয়াখালীর প্রথম পরিচ্ছন্ন এক শহর।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি মোরশেদ আলম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.