অবকাঠামো বিলের সুবিধা পাবে পরবর্তী প্রজন্ম : বাইডেন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কমার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তার অবকাঠামো বিলের সুবিধা পাবে পরবর্তী প্রজন্ম। তিনি বলেছেন, তার এই ঐতিহাসিক পরিকল্পনা কয়লার পরিবর্তে স্বচ্ছ জ্বালানি ব্যবহারের হার বাড়াবে। এর মাধ্যমে সোলার প্যানেল, স্বচ্ছ জ্বালানি থেকে উত্পাদিত পণ্যের হারও বৃদ্ধি পাবে বলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
স্থানীয় সময় গত বুধবার (২০ অক্টোবর) প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার জন্মভূমি পেনসিলভেনিয়ার স্ক্র্যানটনে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমি অঙ্গীকার করছি, আজ যারা শিশু কিংবা যাদের শিশু পরবর্তীতে জন্ম নেবে তারা এই অবকাঠামো বিলের সুবিধা ভোগ করবে।’
তিনি কয়লার শহর স্ক্র্যানটনকে স্বচ্ছ জ্বালানির শহরে রূপান্তরিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কয়লা খনিতে শ্রমিকরা কতোটা কষ্ট করে তা আমি জানি। কিন্তু আমার সরকার যে বিনিয়োগ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তাতে শ্রমিকরা সুন্দর পরিবেশে যেমন কাজ করতে পারবে তেমনি ভাল বেতনও পাবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, কয়লা পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
তিনি জানান, গত দশকে পেনসিলভেনিয়ায় চরম আবহাওয়ার কারণে ১০ বিলিয়ন ডলারের ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ হাজার ৬৩৫ কোটির বেশি) ক্ষতি হয়েছে। জাতীয়ভাবে এই চরম আবহাওয়ার কারণে গত বছর ৯৯ বিলিয়ন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ কোটি টাকা) ক্ষতি হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান। তিনি তার ‘বিল্ড ব্যাক বেটার’ কর্মসূচিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরো বলেন, ‘অবকাঠামো বিল পাস হলে আমাদের অর্থনীতি ও শ্রমশক্তিতে নতুন শক্তি জোগাবে।’ তিনি বলেন, ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো বিলের মাধ্যমে আগামী ২০ বছরে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি জানিয়েছেন, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিলটি ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত পরিষদে পাস করতে হবে।
জানা গেছে, কিছু ডেমোক্র্যাট বিলের আকার কমিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছেন। যদিও বিলটি এর আগে সিনেটে পাস হয়ে গেছে। পেলোসি বুধবার বলেন, এই বিলের ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাটদের ঐকমত্যে পৌছানো সম্ভব এবং সপ্তাহের শেষ দিকে সেটি পাস করাও সম্ভব। প্রেসিডেন্ট বাইডেন গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনের আগেই বিলটি পাস করাতে চান। কারণ তার বিলে জলবায়ু মোকাবিলার ক্ষেত্রেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ৩১ অক্টোবর থেকেই জলবায়ু সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.