বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: চোট কাটিয়ে ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবার মাঠে নামলেন আর্লিং হলান্ড। শুরুর একাদশে ফিরলেন ফিল ফোডেন, মানুয়েল আকাঞ্জিরা। কিন্তু তাদের কেউই দলকে পথ দেখাতে পারলেন না। আগেই অবনমন নিশ্চিত হয়ে যাওয়া সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে শেষ দিকে মরিয়া হয়ে উঠলেও ব্যবধান গড়ে দিতে পারল না ম্যানচেস্টার সিটি।
প্রিমিয়ার লিগে আগের ৪৬ ম্যাচে মাত্র একটিতে জাল অক্ষত রাখতে পারা সাউথ্যাম্পটন শনিবার রুখে দিল তারকানির্ভর দল ও গত চারবারের চ্যাম্পিয়ন সিটিকে। সেন্ট ম্যারি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
এখানে জিতে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে আর্সেনালের ওপর চাপ তৈরি করতে পারতো সিটি। সেটা তো পারলই না, উল্টো এখন এখন ধাপ নিচে নেমে যেতে পারে দলটি।
৩৬ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৮ ড্রয়ে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে গুয়ার্দিওলার দল। তাদের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে এক ম্যাচ কম খেলা আর্সেনাল।
সমান ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানের দল নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও চেলসি মুখোমুখি হবে রোববার। এই ম্যাচের বিজয়ীরা সিটিকে টপকে উঠে যাবে তিনে।
দুই দলের শক্তির পার্থক্য বিবেচনায় পরিষ্কার ফেভারিট হয়ে মাঠে নামে সিটি। অনেকটা সময় আক্রমণে ভুগলেও শেষদিকে কিছুটা ধারাল হয়ে ওঠে দলটির আক্রমণভাগ; কিন্তু ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতা কাটাতে পারেনি। ৭০ শতাংশের বেশি সময় পজেশন রেখে গোলের জন্য ২৬ শট নিয়ে কেবল পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। সাউথ্যাম্পটন পুরো ম্যাচে দুটি লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিতে পারে।
সাত ম্যাচে বাইরে থাকার পর শুরুর একাদশেই মাঠে নামেন হলান্ড। কিন্তু সেরা অবস্থার ধারেকাছেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি গত দুই মৌসুমের গোল্ডেন বুট জয়ী।
ম্যাচের শুরু থেকে অধিকাংশ সময় সিটি বল দখলে রাখলেও, তাদের আক্রমণগুলো ছিল ধারহীন। প্রথম আধা ঘণ্টায় গোলের জন্য একটিমাত্র শট নিতে পারে তারা, সেটাও লক্ষ্যহীন। বিরতির। আগে আরও কয়েকটি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা, যদিও সেটা প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের ২১তম মিনিটে পাসিং ফুটবলে ভালো একটি আক্রমণ শাণায় সিটি। তবে শেষ পর্যন্ত ডি-বক্সে সতীর্থের বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি হলান্ড।
৭৬তম মিনিটে রিকো লুইসের বদলি নেমে প্রথম মিনিটেই গোল পেতে পারতেন নিকো ও’রাইলি। কিন্তু হলান্ডের গোলমুখে বাড়ানো বলে প্রয়োজনীয় টোকা দিতে পারেননি তরুণ ইংলিশ মিডফিল্ডার। চাপ ধরে রেখে সাত মিনিট পর আরেকটি সুযোগ তৈরি করে সিটি, রুবেন দিয়াসের সেই হেড ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
ভাগ্যকেও পাশে পাইনি ম্যানচেস্টার সিটি। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে মার্মাউশের জোরাল শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও ক্রসবারের বাধা এড়াতে পারেনি। তিন পয়েন্টের আশায় মাঠে নেমে একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরতে হলো দলটিকে।
দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যাওয়া সাউথ্যাম্পটন হতাশাভরা মৌসুমে এদিন অবশ্য একটা প্রাপ্তির স্বস্তি নিয়ে ফিরেছে। সিটির মতো দলকে রুখে দেওয়ার দিনে তারা অন্তত প্রমাণ করতে পেরেছে যে, প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে তারা সবচেয়ে বাজে দল নয়!
প্রিমিয়ার লিগে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বাজেভাবে আসর শেষ করা দল ডার্বি কাউন্টি, ২০০৭-০৮ মৌসুমে ১১ পয়েন্ট নিয়ে। সেটাকে ছাড়িয়ে সাউথ্যাম্পটনের পয়েন্ট হলো ১২। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.