অনেক ঝুঁকি নিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করেছি : মমতা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এজেন্সি আর অস্ত্র নিয়ে নন্দীগ্রামে বিজেপি ভোট প্রভাবিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নন্দীগ্রামের নির্বাচন প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এজেন্সি আর অস্ত্র নিয়ে নন্দীগ্রামে ভোট প্রভাবিত করেছে বিজেপি। কিন্তু, এরা জানে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কারও কাছে মাথা নত করে না। নন্দীগ্রামে একাধিক বুথে ভোটে কারচুপি করা হয়েছে। যত ভোট পড়েছিল, তা কমিয়ে-বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এসব কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
আসামে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ নিয়েও এদিন বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আসামে কাল কী হল দেখুন। মৃতদেহের ওপরে গিয়ে লাফাচ্ছে। এটা কোন মানবিকতা। তার পরেও বাংলার মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে! আমাদের ভয়ে ত্রিপুরাতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আর এদিকে আসামে কী হচ্ছে দেখুন।’
ভবানীপুরের জনসভায় মমতা বলেন, সিপিআইএম ৩৪ বছর রাজ্য চালিয়েছে। কিন্তু ওদের বিরুদ্ধে একটা CBI-ED হয়েছে? কংগ্রেসের চিদম্বরমজিকে পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে। কিন্তু, আমাদের পার্টির সবাইকে কেস দিয়েছে। কাউকে বাদ দেয়নি। কারণ আমরা হার মানিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে পার্টি সবচেয়ে নির্ভীক, সৎ, সেই পার্টির সদস্যদের গায়েই হাতে দিয়েছে। এমনকি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়ের মতো মানুষকেও বাদ দিচ্ছে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার আগামী টার্গেট হল পশ্চিমবঙ্গকে বাণিজ্যিক ডেস্টিনেশন হিসেবে গড়ে তোলা। গতবছর করোনার জন্য গ্লোবাল বিজনেস সামিট করা সম্ভব হয়নি। এবছর কোভিড বিধি মেনে তা হবে। অনেক শিল্পপতি এখানে বিনিয়োগ করতে চাইছেন। আমাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছেন। আগামীদিনে ভারতের মধ্যে বাংলাই হয়ে উঠবে সেরা বাণিজ্যিক ডেস্টিনেশন।’
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আহত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় একটি মন্দির থেকে বের হওয়ার সময় চার-পাঁচজন মানুষ তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এরপর তিনি ভাঙা পা নিয়েই হুইল চেয়ারে করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভূমিধস জয় এনে দেন। কিন্তু বিজেপির নানা কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ থাকা নন্দীগ্রামের ওই আসনে তিনি হেরে যান।
এরপর মমতার মুখ্যমন্ত্রীর পদ বাঁচানোর জন্য সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার কারণে ভবানীপুরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আর তাই এখানে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ওই আসনে তুমুল জনপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। (সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.