অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীনের মৃত্যুতে রাসিক মেয়র লিটনের শোক ও দুঃখ প্রকাশ

রাসিক প্রতিবেদক: প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। আজ রোববার এক শোক বার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তোপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি।

শোক বার্তায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন মমতাজ উদ্দীন আহমেদ। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, আলাউল সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমেই আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

উল্লেখ, আজ রোববার বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ। ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদক লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন সরকারি কলেজে বাংলা ভাষা সাহিত্য ও নাট্যতত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন পড়িয়েছেন। এছাড়া ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে খ-কালীন শিক্ষকতা করেছেন। এছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকও ছিলেন। ১৭ বছর বয়সে রাজশাহী সরকারি কলেজের ছাত্রাবস্থায় ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন মমতাজ উদ্দীন আহমেদ। বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী সরকারি কলেজে ইট কাদামাটিতে যে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল, তাতে ভূমিকা রেখেছিলেন।

মমতাজ উদ্দীনের লেখা নাটক ‘কী চাহ শঙ্খচিল’ এবং ‘রাজার অনুস্বারের পালা’ কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, আলাউল সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। তার রচিত নাটকের মধ্যে ‘নাট্যত্রয়ী’, ‘হৃদয়ঘটিত ব্যাপার স্যাপার’, ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’, ‘জমিদার দর্পণ’, ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’ উল্লেখযোগ্য। #(প্রেস বিজ্ঞপ্তি )#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.