অগ্নিগর্ভ জম্মু কাশ্মীর

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তপ্ত জম্মু কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে তিন অস্ত্রধারী নিহত হয়েছেন। তারা সবাই পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইস-ই-মোহাম্মদের সদস্য বলে দাবি করেছে ভারত।
এদিকে, ফারুক আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতিসহ কাশ্মীরের চার সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র সরকার। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন কাশ্মীরের নেতারা।
এদিকে  থেমে থেমে প্রতিদিনই অস্ত্রাধারীদের ধরতে অভিযানে নামছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। আজ শুক্রবার (০৭ জানুয়ারি) সকালেও কাশ্মীরের বুদগাম জেলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ধরতে অভিযান চালায় তারা।
এ সময় পাল্টাপাল্টি গুলিতে তিন অস্ত্রধারী নিহত হন। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, তারা সবাই পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইস-ই-মোহাম্মদের সদস্য। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, অস্ত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধারেরও দাবি করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, রাতভর গোলাগুলি হয়েছে। সকালে আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি। এরমধ্যে একজন নাঙ্গাপুরা গ্রামের বাসিন্দা। সে অনেক বেসামরিক মানুষ হত্যার সঙ্গে জড়িত। 
তিনি আরও বলেন, বাকি দুজনও জইস-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে জড়িত। আমরা ঘটনাস্থল থেকে তিনটি একে ফিফটি সিক্স রাইফেল, আটটি ম্যাগাজিন ও আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র উদ্ধার করেছি। আমরা এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছি।
এর আগে চলতি সপ্তাহে আলাদা অভিযানে আরো পাঁচ অস্ত্রধারী নিহত হন। ভারতের দাবি, তারা জইস-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সদস্য। এদিকে রাজনৈতিকভাবেও উত্তেজনা বিরাজ করছে জম্মু কাশ্মীরজুড়ে। বিশেষ করে কাশ্মীরের চার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি ও গুলাম নবী আজাদের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এসএসজি প্রত্যাহারের পর ক্ষোভে ফুঁসছেন তারা। 
রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীদের সুরক্ষার জন্য এসএসজির মতো বিশেষ ইউনিট গঠিত হলেও সবশেষ চার নেতার নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠক শেষে তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
হঠাৎ করেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যাহার হওয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন চার নেতা। রাজনৈতিক সক্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার কারণে ভয়ে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.