BTC News | বিটিসি নিউজ

আজ- শনিবার, ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আজ- ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অং সান সু চি হয়তো মারা গেছেন, বললেন তাঁর ছেলে

অং সান সু চি হয়তো মারা গেছেন, বললেন তাঁর ছেলে

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জান্তা সরকারের কারাগারে আটক মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির কোনো সংবাদই পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে অং সান সু চিকে ঘিরে তথ্যের শূন্যতা থাকায়, তিনি মারা গেলেও তা জানার সুযোগ নাও পেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তাঁর ছেলে আরিস।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আরিস বলেছেন, তাঁর ৮০ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে বিগত কয়েক বছর কোনো কথাই হয়নি। ২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানে সু কির সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তাঁর হৃৎপিণ্ড, অস্থি আর মাড়ির সমস্যা নিয়ে কেবল বিক্ষিপ্ত, পরোক্ষ কিছু তথ্যই তিনি পেয়েছেন।

টোকিওতে এক সাক্ষাৎকারে আরিস বলেন, ‘তাঁর মায়ের স্বাস্থ্যগত সমস্যা চলছেই। গত দুই বছরে কেউ তাঁকে দেখেনি। তাঁর আইনি দল দূরে থাক, পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। আমার যা মনে হচ্ছে, তিনি হয়তো ইতিমধ্যে মারাও গিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, আমার মাকে নিয়ে (মিয়ানমারের জান্তা নেতা) মিন অং হ্লাইংয়ের নিজস্ব উদ্দেশ্য আছে। নির্বাচনের আগে বা পরে সাধারণ মানুষকে শান্ত করতে যদি তিনি আমার মাকে মুক্তি দিতে চান কিংবা গৃহবন্দী করতে চান, তবে অন্তত সেটাই কিছু একটা হবে।’

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্রকে ফোন করা হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি। জানা যায়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বড় দিন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উপলক্ষে বন্দী মুক্তি দেওয়ার পুরোনো অভ্যাস আছে।

২০১০ সালে একটি নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন পরই শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি মুক্তি পেয়েছিলেন। এর আগে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ইয়াঙ্গুনের ইনায়া হ্রদের তীরে তাঁর ঔপনিবেশিক ধাঁচের পারিবারিক বাড়িতে বন্দী ছিলেন। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি মিয়ানমারের কার্যত নেত্রী হন। সেটি ছিল গত পঁচিশ বছরে প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট, যদিও তাঁর দেশের মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে তাঁর ভাবমূর্তি পরবর্তীকালে কালিমালিপ্ত হয়।

এদিকে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারজুড়ে চরম অস্থিরতা চলছে। এই অস্থিরতা সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছে, যার ফলে দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন বিদ্রোহীদের দখলে। সু চি বর্তমানে রাষ্ট্রদ্রোহ, দুর্নীতি আর নির্বাচন জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে ২৭ বছরের সাজা খাটছেন; তিনি অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করে এসেছেন।

আরিস জানিয়েছেন, তাঁর বিশ্বাস সু কি রাজধানী নেপিদোতেই বন্দী। দুই বছর আগে তাঁর মায়ের কাছ থেকে পাওয়া শেষ চিঠিতে গ্রীষ্ম ও শীতে তাঁর কামরা অসহ্য তাপমাত্রার কথা তিনি লিখেছিলেন। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংঘাতের কারণে আরিস শঙ্কিত যে, মানুষ সম্ভবত মিয়ানমারের কথা ভুলে যাচ্ছে।

তিনি আসন্ন নির্বাচনকে কাজে লাগাতে চাইছেন। অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম নির্বাচন, যা ২৮ ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে শুরু হবে। এই সুযোগে তিনি জাপানসহ বিদেশি সরকারগুলোকে জান্তার ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে এবং তাঁর মায়ের মুক্তির দাবি জানাতে আহ্বান জানাচ্ছেন।

মায়ের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার মনে হয়, আমাকে এ কাজ করতে হওয়ায় তিনি ভীষণ কষ্ট পাবেন। তিনি সবসময়ই চাইতেন, আমাকে যেন এসবের সঙ্গে জড়াতে না হয়। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার কোনো বিকল্প নেই। শেষ পর্যন্ত আমি তাঁর ছেলে। আমি যদি এটা না করি, তাহলে অন্য কারও কাছ থেকেও তা আশা করতে পারি না। #

এইরকম আরও খবর

সর্বশেষ খবর

ব্রেকিং নিউজ
লাওসের জ্বালানি রুট বন্ধ করে দিলো থাইল্যান্ড বাবাকে হয়তো আর কখনো দেখতে পাবো না : ইমরান খানের দুই ছেলে জ্ঞানের শক্তিকে সততার সাথে ব্যবহার করতে হবে – শিক্ষা উপদেষ্টা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অস্বচ্ছল পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে : মিল্লাত জীবনের ভালো মন্দ নিয়ে খোলামেলা জেনিফার যে দেশে লোক পাঠাতে যাই, প্রথম কথা তোমাদের কাগজপত্র সব জাল : প্রধান উপদেষ্টা ইতালিতে গেলে গর্বে বুকটা ফুলে ওঠে, কিচেন স্টাফরা সবাই বাংলাদেশি : প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারে সিমেন্ট বোঝাই দুটি বোটসহ ২৩ চোরাকারবারি আটক সেন্টমার্টিনে অবৈধ ট্রলিং বোটসহ আটক-১৬ জেলে শীর্ষ ধনী পরিবারের বউ হয়েও সাধারণ কেন ঈশিতা?