বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের মুক্তির বিষয়ে এখনও দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। গত ১৬ মার্চের পর নাবিকরাও আর যোগাযোগ করেনি। এ অবস্থায় নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষা বাড়ছে।
জিম্মি হওয়া জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম’র মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে এক নাবিকের সঙ্গে আমাদের সবশেষ মোবাইলে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন সব নাবিক সুস্থ আছেন। তবে তাদের যে খাবার মজুত আছে তা দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। কেননা, নাবিকদের সঙ্গে খাবার খাচ্ছে দস্যুরাও।
তিনি বলেন, নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে মধ্যস্থতার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে, জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এরইমধ্যে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সোমালিয়ার পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে, জাহাজটির মালিকপক্ষ বলেছে, জাহাজটিতে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। জাহাজ উদ্ধারের চেয়ে নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনেই এখন প্রধান লক্ষ্য। তার ওপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
এর আগে, গত ১৪ মার্চ নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। তবে নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি সরকার ও মালিকপক্ষ।
উল্লেখ্য,২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর থেকে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.