বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সীমান্তে একটি ট্রেন থেকে সাত কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ স্বর্ণের মূল্য চার কোটি ৭০ লাখ রুপির বেশি। পাচারকারী সন্দেহ ভারতীয় তিন নারী ও এক পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানায়, বৃহস্পতিবার তাদের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ন সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গেদে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন আকারের ৩২টি স্বর্ণের টুকরো উদ্ধার করে। স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বর্ণের চালান সংগ্রহ করতে আসা ডিলারকেও গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ।
বিবৃতিতে বিএসএফ জানায়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে, ভারতের গেদে সীমান্ত হয়ে গেদে-শিয়ালদহ লোকাল ট্রেনে স্বর্ণের চালান পাঠানো হচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে, তারা শিয়ালদহগামী ট্রেনে উঠে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে এবং তিন নারীকে স্বর্ণসহ আটক করে। এ স্বর্ণ তারা কলকাতামুখী ময়ূরহাট হল্ট স্টেশনে ডিলারকে দিতে যাচ্ছিলেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, অপূর্ণা বিশ্বাস, অসীমা মুহুরী মিতালী পাল ও ডিলার সৌমেন বিশ্বাস। তারা নদীয়ার বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে ডিলার জানান, তারা একই গ্রামে থাকলেও এক অপরিচিত ব্যক্তির জন্য কাজ করতেন। গ্রেপ্তার নারীরা জানান, স্বর্ণের চালান ময়ূরহাট স্টেশনে সৌমেন বিশ্বাসের কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছিলেন তারা। এ কাজের জন্য তারা প্রত্যেকে এক হাজার রুপি করে পেতেন। কিন্তু, তার আগেই ময়ূরহাট রেলস্টেশনে বিএসএফ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থার জন্য তাদের কলকাতা জোনাল ইউনিটের রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি (জনসংযোগ) একে আর্য জানান, চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে অল্প অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ সজাগ আছে এবং কঠোর পদক্ষেপ অবলম্বন করছে। সীমান্তে যেকোনো ধরনের চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ সম্পূর্ণভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.