বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক:ফুটবলে ফেরাটা ভীষণ হতাশার হলো ডেলে আলির জন্য। ৭৪৮ দিন পর প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখলেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। মাঠে থাকতে পারলেন মাত্র ৯ মিনিট।
এসি মিলানের রুবেন-লফটাস-চিককে ফাউল করে প্রাথমিকভাবে হলুদ কার্ড দেখেন কোমোর হয়ে খেলা ডেলে আলি। পরে ভিএআরে পরীক্ষা করে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ম্যাচটি ২-১ ব্যবধানে হারে কোমো।
ডেলে আলির টটেনহ্যাম হটস্পার সতীর্থ কাইল ওয়াকার এখন খেলেন এসি মিলানে। মনে হয়েছে, কোমোর খেলোয়াড়দের সঙ্গে তিনিও রেফারিকে লাল কার্ড না দেখানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
ডেলে আলির লাল কার্ডের ঘটনায় হতাশা জানানোয় লাল কার্ড দেখেন কোমো কোচ সেস ফাব্রেগাসও। তবে ম্যাচ শেষে তিনি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকেই কাঠগড়ায় তুললেন।
“ডেলে আলি একজন গোল স্কোরার। আমি তাকে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়ের জন্য এটি গুরুতর একটি ভুল। পরিষ্কার লাল কার্ড, সে দলকে তখন ছেড়ে এসেছে যে সময় সে স্কোর ২-২ করতে পারত।”
গত জানুয়ারিতে ১৮ মাসের চুক্তিতে কোমোয় যোগ দেন ২৮ বছর বয়সী ডেলে আলি। যা এক বছর বাড়ানোরও সুযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের ক্লাব বেসিকতাস ছাড়ার পর শনিবার প্রথম মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
এক সময়ে ইংলিশ ফুটবলের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে দেখা হতো ডেলে আলিকে। ২০১৮ বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে খেলা ইংল্যান্ড দলের সদস্য তিনি। ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলা মাউরিসিও পচেত্তিনোর তারুণ্য নির্ভর টটেনহ্যাম দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি।
তার ক্যারিয়ার পরে পরিকল্পিতভাবে এগোয়নি। শৈশবে কঠিন সময় কাটানো ডেলে আলিকে লড়তে হয়েছে মানসিক-স্বাস্থ্য জনিত সমস্যার সঙ্গে, ঘুমের ওষুধের প্রতি আসক্তির সঙ্গে। ২০২৩ সালে ছয় সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্রে রিহ্যাব করেন তিনি।
গত মৌসুমে এভারটনের হয়ে কোনো ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি ডেলে আলি। দলটির সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হয় গত জুনে। মাঠে নামতে পেরেছিলেন এর আগের মৌসুমে ধারে বেসিকতাসে খেলার সময়।
গত বছরের শেষ দিকে কোমোর সঙ্গে অনুশীলন করেন ডেলে আলি। সেখানে দেখেই দলে নেন ফাব্রেগাস। ২৯ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে সেরি আয় ১৩ নম্বরে রয়েছে তার দল। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.