পিরোজপুরপ্রতিনিধি: পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের পঞ্চগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাইনকাঠী-তারাবুনিয়া গ্রামে সাতকাছিমিয়া নদীতে ব্রীজ না থাকায় ৭টি গ্রামের বাসিন্দা প্রায় ৩০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে র্দীঘদিন ধরে পারাপার হয় বাঁশের সাঁকো।
এলাকাবাসী জানান, এ স্থানে ব্রীজ না থাকায় বাইনকাঠী, তারাবুনিয়া, ঘোপেরখাল, উত্তর শাখারীকাঠী, ছিটকিবুনিয়া ও গিলাতলা গ্রামের বাসিন্দারা ও দুই পাড়ে অবস্থিত প্রায় ৬ টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহ সাধারণ মানুষের চলাচলের ও মালামাল আনা-নেয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ছাড়া তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজার জাত করনে পড়তে হয় চরম দূর্ভোগে।
বাঁশের সাঁকোর পূর্ব প্রান্তে উত্তর শাখারীকাঠী নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, সাথেই রয়েছে পরশমনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘোপেরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পশ্চিম প্রান্তে পঞ্চগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়ে ছোট ছোট প্রায় আট শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন দুই বেলা এ সাঁকো পারাপার হয়। সাঁকো পারাপারে ছোট খাট দূর্ঘটনা ও ঘটেছে।
শিক্ষক অধীর রঞ্জন সমাদ্দার বিটিসি নিউজকে জানান, বেশির ভাগ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সাঁকো থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে প্রায়ই বই, খাতা নষ্ট করে। মাঝে মাঝে সাঁকো ভেঙে গেলে আমার শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হতে হয় তাই এখন আমাদের দাবী আর বাঁশের সাঁকো নয় এখানে অনতি বিলম্বে একটি ব্রীজ দরকার।
তরাবুনিয়া গ্রামের একজন কৃষক অনু বৈরাগী বিটিসি নিউজকে বলেন, নদীতে ব্রিজ না থাকায় কৃষকেরা কৃষিপণ্য মাথায় করে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়।
এলজিইডি প্রকৌশলী মো.জাকির হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান,উক্ত স্থানের ব্রীজ বাস্তবায়নের জন্য হেড কোর্য়াটারে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.