বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডস রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় তাদের মোট চার জন সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে উত্তর গাজা ব্রিগেডের কমান্ডারও রয়েছেন।
আহমাদ আল-গান্দোর ছিলেন কাসাম ব্রিগেডসের সর্বোচ্চ নেতা। ধারণা করা হচ্ছে হামাসের অক্টোবর ৭ তারিখে ইসরায়েলে হামলার পর পাল্টা হামলায় তিনি নিহত হয়ে থাকতে পারেন।
আল-গান্দোরের নিহত হওয়ার তথ্যটি বার্তা আদানপ্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে নিজেদের চ্যানেলে জানিয়েছে কাসাম ব্রিগেডস। তবে কখন এবং কোথায় তিনি মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু জানানো হয়নি।
এর আগেও ইসরায়েল অন্তত তিন বার আল-গান্দোরকে হত্যার চেষ্টা করেছে। ওয়াশিংটনের কাউন্টার টেররিস্ট প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকেই নানা সময়ে ইসরায়েল তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
আরও তিন শীর্ষস্থানীয় নেতার মৃত্যুর তথ্যও জানিয়েছে কাসাম ব্রিগেডস। এদের একজন হচ্ছেন আয়মান সিয়াম। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সিয়াম ছিলেন কাসাম ব্রিগেডসের রকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান।
যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, জার্মানিসহ বেশ কিছু দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আশা কাতারের
ইসরায়েল এবং ইসলামপন্থি হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী কাতার সরকার আশা করছে বর্তমানে সম্মত হওয়া চার দিনের বাইরেও যুদ্ধবিরতি বাড়ানো যাবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি মার্কিন সম্প্রচারক সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি এই দুই দিনের মুক্তি এবং চার দিনের চুক্তি থেকে যে গতি এসেছে, তার ফলে এই চারদিনের পরেও যুদ্ধবিরতি আরো বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে। এজন্য বাকি জিম্মিদের বিষয়ে আরো গুরুতর আলোচনায় যেতে হবে।’
দুই দফায় এখনো পর্যন্ত ২৬ ইসরায়েলি নাগরিক, চার থাই এবং এক ফিলিপিনো নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ৭৮ ফিলিস্তিনি বন্দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
চার দিনের চুক্তি অনুযায়ী, ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে দ্বৈত নাগরিকসহ মোট ৫০ জন জিম্মিকে হামাস মুক্তি দিতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। চলমান চুক্তি সইয়ের আগে হামাস আগ্রহী হলে আরও জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল ইসরায়েল।
রোববার যেসব জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হতে পারে, তাদের তালিকা ইসরায়েলকে পাঠিয়েছে হামাস। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, নিরাপত্তাবাহিনী এবং জিম্মিদের পরিবার এই তালিকা খতিয়ে দেখছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.