হামাসের নিয়ন্ত্রণ ফিরেছে গাজার কিছু অংশে

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দখলদার ইসরায়েলি সেনারা প্রায় এক মাস আগে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে সরে যায়। আর ইসরায়েলি সেনারা সরে যাওয়ার পর উত্তরাঞ্চলের গাজা সিটিতে পুনরায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। বার্তাসংস্থা এপি শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এপির সাংবাদিক গাজা সিটির চারজন সাধারণ মানুষ এবং হামাসের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন সম্প্রতি গাজা সিটিতে পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আংশিক বেতন দেওয়া হয়েছে। গাজায় প্রায় চার মাস নির্বিচারে বর্বর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এছাড়া ইসরায়েলের স্থল সেনারা ট্যাংক ও কামান নিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। এত হামলার পরও হামাসের পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি ইঙ্গিত করছে— তারা এখনো টিকে আছে। যদিও ইসরায়েল দাবি করেছিল, উত্তরাঞ্চলে হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা হয়েছে।
তবে হামাস যেসব অঞ্চলে সরকারি চাকরীজীবীদের বেতন দিয়েছে সেসব অঞ্চলে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এপি জানিয়েছে, সাদা পোশাক এবং পোশাক পরিহিত পুলিশ সদস্যদের পুলিশের সদর দপ্তর এবং আল-শিফা হাসপাতালের সামনে দেখা গেছে। এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাজ করতে দেখা গেছে। কিন্তু সেখানে তাদের লক্ষ্য করে আবারও বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হামাসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যেখান থেকে ইসরায়েলি সেনারা সরে গেছে— সেখানে এখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
তিনি আরও জানিয়েছেন, হামাসের নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন— উত্তরাঞ্চলে যেন পুনরায় বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পুলিশ সদস্যদের দোকান ও বাড়িঘরে লুটপাট ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ইসরায়েলি সেনাদের হাত থেকে বাঁচতে অনেক মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেলে পালিয়ে গেছেন। এখন সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলা হচ্ছে। সাঈদ আব্দেল-বার নামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তার চাচাত ভাই হামাসের একটি অস্থায়ী কার্যালয় থেকে ২০০ ডলার পেয়েছেন।
এছাড়া পুলিশ সদস্য ও পৌরসভার কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়েছে। সরকারি চাকরীজীবীদের আংশিক বেতন দেওয়ার বিষয় নির্দেশ করছে— ইসরায়েল হামাসকে এখনো নির্মূল করতে পারেনি। যদিও তারা দাবি করেছে, হামাসের ১০ হাজার সদস্যকে হত্যা করেছে তারা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.