নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ ভোটার ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বর্জন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে এক নৈতিক বিজয় এনে দিয়েছে। ৭ জানুয়ারি দুপুর পর্যন্ত ভোটের প্রকৃত সংখ্যা দেখে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা উৎকণ্ঠিত ও বিচলিত হয়ে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে ভোটের হার কৃত্রিমভাবে বৃদ্ধি করে দেখায়। তবে এতেও তাদের কোন লাভ হয়নি। দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক মহল ইতিমধ্যে প্রকৃত তথ্য জেনে গেছে। ফলে সরকারি মহল নিজেদের হতাশা ঢাকা দেওয়ার জন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর নতুন করে দমন-নিপীড়ন শুরু করে দিয়েছে।
শত শত গ্রেফতার, জেল-জুলুম, হত্যা-গুম, মামলা-হামলা করেও বিএনপির মনোবল ভাঙ্গতে পারেনি।বিএনপির নেতা,কর্মী ও সমর্থকরা আত্মসর্মপন করেনি। ৭’জানুয়ারীর পর কালো পতাকা মিছিলের মত নিত্যনতুন দলীয় কর্মসূচিতে জনসমাগম দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে হাসিনার সরকার। তাই এখন তারা নতুন কৌশল হিসাবে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ছড়ানোর অপকৌশল বেছে নিয়েছে। পরিকল্পিত উপায়ে বিভিন্ন দালাল শ্রেণীর লোকদের দিয়ে এজেন্সি গুলো মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙার অপচেষ্টা করছে।
আপনারা কারো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত বা হতাশ হবেন না। আমরা সকলেই জানি, তারপরেও সতর্কতা হিসেবে যারা অপপ্রচারকারী তাদের চিহ্নিত করুন এবং বয়কট করুন। নেতাকর্মীদের কাছে নিজেদের লড়াই ও আত্মত্যাগের সাফল্য তুলে ধরুন। বিপদগ্রস্হ নেতাকর্মীদের আশা দিন, ভরসা দিন, দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ান এবং ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন। পরিস্হিতি যতটা প্রতিকূল দেখছেন ততটা কিন্তু নয়।বিএনপির চেয়ে সরকার ও আওয়ামীলীগ আরো অনেকবেশী বিপদে রয়েছে। কোন কিছুর উপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নেই। চারিদিকে ফিশফাস শুরু হয়ে গেছে।এই মূহুর্তে ধর্য্যের সাথে পরিস্হিতি মোকাবিলা করুন। করনীয় ঠিক করুন।
পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন, সম্মিলিতভাবে তা মোকাবেলার কৌশল নির্ধারণ করে দলীয় দিকনির্দেশনা মেনে নিজ নিজ কর্তব্য পালনে সবাই ঐক্যবদ্ধ করে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। ফ্যাসিবাদি হাসিনার পতন ও দুঃশাসনের অবসান হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ।
লেখক: এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম / পাবনা। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.