বিশেষপ্রতিনিধি: সব সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন আহ্বান করে আইন প্রণয়নে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিতে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে গেছে।
রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুর ২টা ২৫ মিনিট ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, আসিফ মাহমুদসহ ১২ জনের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে যান।
প্রতিনিধিদলে আরও রয়েছেন– নিদ্রা, আরিফ সোহেল, সুমাইয়া, আশিক, কাদের, মাহিন, হাসিব, মাসুদ ও সিফাত।
এর আগে, রবিবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে গণপদযাত্রা শুরু করে শাহবাগ-মৎসভবন হাইকোর্ট মোড় হয়ে গুলিস্তান জিপিওর সামনে প্রথম পুলিশি বাধার মুখে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তারা বেরিকেড ভেঙে গুলিস্তান পাতাল মার্কেট সংলগ্ন মোড়ে আবারও বাধার মুখে পড়েন।
এখানে সবাই পৌঁছানোর পর আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আর সামনে এগোবেন না। এরপর যদি কেউ এগোলে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। সমন্বয়করা বিশৃঙ্খলার দায়ভার নেবেন না। সবাই যার যার জায়গায় অবস্থান করুন।
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ গণপদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজকের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক ও অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত দুই সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি নামে গত সপ্তাহ সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করে আসছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.