আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: প্রথম স্ত্রী আসমা খাতুনের দায়ের করা যৌতুক মামলায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন (পিআইও) কর্মকর্তা কাওছার আলী এখন কারাগারে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সিরজগঞ্জ সদরে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
কাওছার আলী আদমদীঘি উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার চরকাদহ গ্রামের ছমের আলী খন্দকারের ছেলে।
মামলা সুত্রে জানাযায়, পিআইও কাওছার আলীর সাথে তার ১ম স্ত্রী আসমা খাতুনের সাংসারিক বিষয়াদি নিয়ে বেশ কয়েক বছর যাবত বিরোধ চলে আসছে। মাঝে মধ্যে তিনি স্ত্রী আসা খাতুনকে মানসিকও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে চাপ দিতেন।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে স্ত্রী আসমা খাতুন ও তার সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে আইরিন আক্তারকে ২য় বিয়ে করেন। এরপর নানা প্রলোভনে তিনি সেপ্টেম্বর মাসে আবারো স্ত্রী আসমা খাতুনকে স্বশুর বাড়ি কাজীপুরে নিয়ে আসেন। সেখানে কিছু দিন অবস্থান করার পর পুনরায় যৌতুক দাবী করে নির্যাতন করতো। স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ট স্ত্রী আসমা খাতুন ডিসেম্বর মাসে সিরাজগঞ্জ আদালতে স্বামী কাওছার আলীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় রোববার সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.