বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: লম্বা সময় পর ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে পাকিস্তান। হাইব্রিড পদ্ধতিতে এশিয়া কাপের এবারকার আসরটি অনুষ্ঠিত হলেও মূল আয়োজক পাকিস্তান।
আর দীর্ঘদিন পর ঘরের মাঠে হওয়া আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টটা স্মরণীয় করে রাখলেন পাকিস্তান দলপতি। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি দিয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু করলেন বাবর আজম।
ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা পার করছেন পাকিস্তান দলপতি বাবর আজম। একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংসের মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন অনন্য এক উচ্চতায়। চলতি বছর তার ব্যাট থেকে ইতোমধ্যেই এসেছে বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন ইনিংস।
খাদের কিনারায় থাকা দল বাবরের ব্যাটে ভর করে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছানোর নজির রয়েছে অসংখ্য। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে আরও একবার সেই প্রমাণ দিলেন তারকা এই ক্রিকেটার।
২৫ রানে ২ ওপেনারকে হারিয়ে পাকিস্তান যখন চোখ রাঙ্গানি দেখছিলো অল্পতেই থেমে যাওয়ার, সে সময় ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন বাবর আজম। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি।
৭২ বলে পূরণ করেন অর্ধশতকের কোঠা। দল বিপদ কাটিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছানোর পর ডানহাতি এই ব্যাটার আবির্ভূত হন সম্পূর্ণ বিপরীত এক রূপে। নেপালের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে চলতি এশিয়া কাপের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে নিজের নাম লেখান।
অর্ধশতক হাঁকানোর পর শতকের মাইলফলকে পৌঁছাতে বাবরের খেলতে হয় মাত্র ৩৭ বল।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি বাবর আজমের ১৯তম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরিটি হাঁকাতে বাবর বাউন্ডারি হাঁকান মোট ১০টি। এর সবকয়টি ছিল চারের মার।
সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও ক্ষান্তি নেননি বাবর। ২০ বল খেলে তিনি নিজের নামের পাশে যোগ করেন আরও ৫০ রান। এই ২০ বলে বাবরকে দেখা যায় বেশ আগ্রাসীরূপে। কোন ছক্কা ছাড়াই সেঞ্চুরি বাগিয়ে নেয়ার পর ১৫০ রানের মাইলফলকে পৌঁছানোর পথে চারটি বাউন্ডারির পাশাপাশি বাবর হাঁকান চারটি ছক্কাও। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.