বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:সুপার টাইফুন রাগাসার পর এবার নতুন ঘূর্ণিঝড় বুয়ালয়ের কবলে পড়েছে ফিলিপিন্স। দেশটির বিভিন্ন শহরে আঘাত হেনেছে ঝড়টি। এতে অন্তত চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। এদিকে রাগাসার প্রভাবে বিধ্বস্ত তাইওয়ানে নিখোঁজদের উদ্ধারে চলছে অভিযান।
এপির প্রতিবেদন মতে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ফিলিপিন্সে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় বুয়ালয়। শুরুতে প্রবল শক্তিশালী থাকলেও এদিন সকালে তা দুর্বল হয়ে সাধারণ ঝড়ে পরিণত হয়। তবে এর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতে বহু এলাকা প্লাবিত হয়।
বুয়ালয়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর, উড়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি আর টিনের ছাউনি। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয় চার লক্ষাধিক বাসিন্দাকে। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ায় অনেক পরিবার এখন আশ্রয় নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
এর আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় সুপার টাইফুন রাগাসা ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার গতিতে ফিলিপিন্সের উত্তরে কাগায়ান প্রদেশের পানুইটান দ্বীপে আঘাত হানে। চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন এটি।
ঘুর্ণিঝড়টি আঘাত হানার আগে-পরে ফিলিপিন্সের ওই অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। এরপরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি অন্তত তিনজনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া রাজধানী ম্যানিলাসহ দেশটির বিস্তীর্ণ অংশে স্কুল এবং সরকারি অফিস বন্ধ রাখা হয়।
এরপর ঘূর্ণিঝড়টি তাইওয়ানে আঘাত হানে। এতে দেশটিতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ হন আরও ১২৪ জন। এরপর এই টাইফুন চীন ও হংকংয়েও আঘাত হানে। রাগাসার তান্ডব থেকে এখনও পরিত্রাণ মেলেনি চীনের। অনেকে চোখের সামনে ডুবে যেতে দেখেছে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জানান, দশ বছরের ব্যবসায় এমন ক্ষতির মুখে পড়েননি তারা। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.