সিরিয়ার তারতুস ঘাঁটি থেকে রাশিয়ার কোনো জাহাজ বের হয়নি : ল্যাভরভ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের অতর্কিত অভিযানের পর তারতুস ঘাঁটি থেকে রাশিয়ার কোনো জাহাজ বের হয়নি। ভূমধ্যসাগরে মহড়ার কারণে ভুল অনুমানের ওপর ভিত্তি করে গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) কাতারে ইরান ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জেই ল্যাভরভ এ কথা বলেন।
সম্প্রতি খবর ছরায়, দীর্ঘদিন ধরে আসাদ সরকারকে জোড়াল সাপোর্ট দিয়ে আশা রাশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজ সিরিয়ার তারতাস বন্দর ছেড়ে চলে গেছে। তবে তখন কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া।
এই ইস্যুতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, রুশ জাহাজ তারতাস নৌঁঘাটি ছেড়ে যায়নি। বরং মিডিয়ায় যা ছড়ানো হচ্ছে, তা গুজব।
তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরে সামরিক মহড়া চালানো হচ্ছে। সম্ভবত স্যাটেলাইট চিত্রগুলো এটাকে অন্য কিছু ভেবে নিয়েছিল।
তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গতকাল শনিবার দোহায় সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের নিয়ে আলোচনা করেছেন। মস্কো ২০১৫ সালে সিরিয়ার সংঘাতে হস্তক্ষেপ করেছিল এবং সরকারি বাহিনীকে আল-নুসরা এবং ইসলামিক স্টেটসহ (পূর্বে আইএসআইএস) বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে পরাজিত করতে সহায়তা করেছিল। দেশটিতে রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য সামরিক উপস্থিতি রয়েছে এবং খেমেইমিম ও তারতুসে তাদের ঘাঁটি রয়েছে।
জাবহাত আল-নুসরার একটি শাখা হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গত সপ্তাহে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি আকস্মিক আক্রমণ শুরু করে। দ্রুত আলেপ্পো থেকে সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে তাড়িয়ে দেয় এবং দামেস্কের দক্ষিণে রাস্তায় হামা ও হোমস শহরে প্রবেশ করে। যদিও সিরিয়ার সামরিক বাহিনী রুশ যুদ্ধবিমানের সহায়তায় হুমকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে পুনরায় সেনা মোতায়েন করেছে।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীরা দৃশ্যত সীমারেখা ভেঙে গতকাল শনিবার দামেস্কের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায়। ২০১৫ সালের পর প্রথমবারের মতো তারা রাজধানী দখল করে।
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে এসব বিদ্রোহী প্রশিক্ষণ পেয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের মধ্যে বাশার আসাদ দেশে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ‘নির্মূল’ এবং তাদের ‘পৃষ্ঠপোষক ও সমর্থকদের’ শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকারও করেছিলেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.