বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ত্রিমুখী শিরোপা লড়াইয়ে মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা ম্যাচে পুরোটা সময় ধরে চলল আক্রমণের জবাবে পাল্টা আক্রমণ। যদিও উল্লেখযোগ্য সুযোগের দেখা মিলল যৎসামান্য। কেউ ভাঙতে পারল না ডেডলক। ফলে, পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটিকে।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার রাতের এই গোলশূন্য ড্রয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকেই সপ্তাহ শেষ করতে যাচ্ছে লিভারপুল। এই ম্যাচের আগে ব্রাইটনকে ২-১ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় চূড়ায় ওঠে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
২৯ ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট লিভারপুলের। দুই পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আর্সেনাল। ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে ম্যানচেস্টার সিটি।
ঘরের মাঠে ৭০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে ছিল সিটির। তবে দলটির আক্রমণভাগ এদিন ছিল অনেকটাই বর্ণহীন; গোলের উদ্দেশ্যে ১২টি শট নিলেও মাত্র একটিই লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। বিপরীতে আর্সেনাল ছয়টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে ২টি।
ঠাসা গ্যালারি, তুমুল উত্তেজনার মাঝে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পায় আর্সেনাল। গাব্রিয়েল জেসুসের ১০ গজ দূর থেকে নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
শিরোপা লড়াইয়ে এই ম্যাচের ফল হয়ে উঠতে পারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, শুরু থেকেই মাঠের লড়াইয়ে সেই উত্তাপ ছড়াতে থাকে। প্রথম ৩০ মিনিটে আটবার ফাউলের বাঁশি বাজাতে হয় রেফারিকে, যার ছয়টিই আর্সেনালের বিরুদ্ধে।
বল দখলে সিটি একচেটিয়া আধিপত্য করলেও প্রথমার্ধে একটিমাত্র নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারে তারা। পঞ্চদশ মিনিটে নাথান আকের কাছ থেকে একটি প্রচেষ্টা সহজেই ঠেকিয়ে দেন আর্সেনাল গোলরক্ষক।
ডাচ ডিফেন্ডার আকে অবশ্য বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি; পায়ে চোট পাওয়ায় তাকে ২৭তম মিনিটে তুলে নেন সিটি কোচ। বদলি নামেন রিকো লুইস।
৩১তম মিনিটে আরেকটি দারুণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি জেসুস। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের কোনাকুনি শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে হতাশা বাড়ে আর্সেনালের।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দুই মিনিটে দারুণ দুটি আক্রমণ শাণায় সিটি। দ্বিতীয়টিতে মাতেও কোভাসিচের দূর থেকে নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। খানিক বাদে তাদের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় আর্সেনাল। কিন্তু সতীর্থের গোলমুখে বাড়ানো বলে প্রয়োজনীয় টোকা দিতে পারেননি জেসুস।
পরের ৩০ মিনিটে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সুযোগ কেউই তৈরি করতে পারেনি। ৮৩তম মিনিটে কর্নারে সতীর্থের মাথা ছুঁয়ে আসা বল দূরের পোস্টে ফাঁকায় পেলেও শট নিতে পারেননি আর্লিং হলান্ড।
বাকি সময়টাও কেটে যায় এভাবেই, খুব কঠিন কোনো পরীক্ষায় পড়তে হয়নি দুই গোলরক্ষককে।
পুরো ম্যাচে আর্সেনাল মোট ফাউল করেছে ২০ বার, আর সিটি ৯ বার।
লিগে এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র করল সিটি। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতির আগে লিভারপুলের মাঠে ১-১ ড্র করেছিল গত তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।
আর আর্সেনাল টানা আট জয়ের পর পয়েন্ট হারাল এই প্রথম। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.