উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরের সাতলায় চেয়ারম্যান লিটন বাহিনীরা একের পর এক মৎস্য খামার ও সরকারি খালের জমি দখল করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় সাবেক চেয়ারম্যান মৃত আঃ খালেক আজাদের সহযোগিতায় ওই ইউনিয়নের একাধিক হতদরিদ্র পরিবার দীর্ঘদিন ধরে যৌথ ভাবে ঘেরে মাছ চাষের ব্যবসা করে আহার যুগিয়ে থাকে।
তিনি সুনামের সহিত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং গরীব দুখী মানুষের পাশে থেকে তাদের দুমুঠো আহার যোগাতে ও সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকল বেকারদেরকে মাছ চাষের ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
তার মৃত্যুর পরে ছেলে মশিউর রহমান মিয়া ও মনির মিয়া পিতার আদর্শকে অনুসরন করে সমাজের অসহায় মানুষদের কাধে কাধ মিলিয়ে চলাফেরা করছে এবং অসহায় পরিবারদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সুপরিচিত হয়েছেন। মশিউর রহমান গংদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় মৎস ঘেরটি বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ খায়রুল বাশার লিটন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা ও তান্ডব চালিয়ে জোরপুর্বক দখলের পায়তারা চালাচ্ছে।
এছাড়াও চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার লিটন ও তার সমর্থক আলোচিত অপহরন ও ধর্ষন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী রশিদ মিয়া, ট্রান্সফর্মা চুরি ও ধর্ষন মামলার আসামী নাসির উদ্দিন মিয়া, স্ত্রী হত্যা মামলা জড়িত কালাম মিয়া এবং সোবাহান মিয়া, মমিন সরদার,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আইয়ুব আলি মিয়া, কবির মিয়া, অদুত মিয়াসহ কতিপয় ভুমিদস্যু সন্ত্রাসীরা মুড়িবাড়ী সরকারি খালসহ ১ হাজার বিঘা জমি জোরপুর্বক দখল করে সাধারন মানুষকে জিম্মি করে মাছের চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অন্যের জমি দখল করা তাদের নেশা ও পেশা। তারা এলাকায় বিভিন্ন অন্যায় ও অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। ক্ষমতার দাপটে তার একের পর এক অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না এলাকার সাধারনরা। এমনকী তাদের ভয়ে অধিকাংশ সংখ্যালঘু পরিবারসহ সাধারন মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
ভুক্তভোগী মশিউর রহমান ও তার ভাই মনির মিয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, চেয়ারম্যান লিটন বাহিনীরা আমাদের মৎস ঘেরে হামলা চালায় এবং অন্যায় ভাবে ক্ষমতার দাপটে দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে। এমনকী তাদের দখলবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড’র ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে বিভিন্ন মহলে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানিয়েছেন অল্প কয়েকদিন ধরে চেয়ারম্যান হয়ে খায়রুল বাশার লিটন দখলবাজীতে নেমেছে। এর জবাব ভবিষ্যতে তাকে জনগনই দেবে।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার লিটনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার জন্য বারবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। ইউনিয়নবাসী ভ‚মিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষা পেতে সরেজমিন তদন্ত করে প্রকৃত ভ‚মিদস্যুদের সনাক্ত করে দ্রুত তাদের গ্রেফতার পুর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্ত্রির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.