সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:সাতক্ষীরার কাশেমপুর বাইপাস সড়ক সংলগ্ন নাটাতলায় কৃষি জমি মাটি ও বালি কেটে হল্লা গাড়িতে ঝড়ের গতিতে ইটভাটায় ও বিভিন্ন স্থানে জলাশয় পুকুর ভরাটের কাজে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে রাস্তা হুমকির মুখে পড়েছে। একইসাথে কাঁচা রাস্তা ও বাইপাস সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শতাধিক হল্লা গাড়ি মাটি বহনে নিয়োজিত থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা।
শুকুর আলীর ভাটার নিকটবর্তী আব্দুল বারীর দোকানে বসে থাকা কাশেমপুরের সাইফুল ইসলাম, আজগার আলীর দোকানের খরিদ্দার বাবুলিয়ার শাহাজান সরদার, আতার দোকানে বসে থাকা বকচরার আমিরুলসহ কাশেমপুরের কয়েকজন জানান, হল্লা গাড়ি যেভাবে নাটাতলা বিলের মাটি ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে তাতে বাতাসে ধুলোবালি উড়ে এখানে বসার অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। তাছাড়া এই মহাসড়কটি ক্ষতি হচ্ছে। নাটাতলা বিলের কৃষক জামিরুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান, জিল্লুর রহমানসহ কয়েকজন জানান, কৃষি জমির মাটি কাটতে কাটতে এত গভীর করা হচ্ছে যে বর্তমানে তারা কৃষি জমি থেকে বালি তুলছে। এতে ওই জমির পাশ দিয়ে থাকা কাঁচা রাস্তার বর্ষা শুরুতেই ভেঙে পড়বে। তাছাড়া কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। এতে এলাকার পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। বাইপাস সড়কের উপর দিয়ে হল্লা গাড়ির মাটি পড়ার কারণে কিছুদিন আগে বৃষ্টি হওয়ায় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও চারজনকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে বলে তারা জানান।
অতিবিলম্বে এ মাটি কাটা বন্ধ না করা হলে এবং এইভাবে মাটি কেটে হল্লা গাড়ি গতি বেগে সড়কে চলতে থাকে তাহলে ওই এলাকার পরিবেশসহ বাইপাস সড়কের পথচারী ও সেখানে থাকা মাদ্রাসার ছাত্র ও মসজিদের মুসল্লীরা দূঘর্টনার হুমকির মুখে পড়বে বলে এলাকাবাসিরা জানান।
তবে এব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা শাখার উপ-পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরাকে মৌখিক জানানো হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.