সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১০নং আগরদাড়ী ইউনিয়নে কাশেমপুর গ্রামে রাস্তায় জনদূর্ভোগে মানুষ চলাচল করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসিরা জানান, সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়ন এলাকায় জনপ্রতিনিধির অভাব না থাকলেও কাশেমপুর গ্রামের উন্নয়নে তদারকির অভাবে থমকে আছে উন্নয়ন। ভোট আসলেই প্রার্থীরা রাস্তা দিয়ে যায় আর আসে, আর প্রতিশ্রুতি দেয় গ্রাম হবে স্মর্ট শহর। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভুলে যায় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিতশ্রুতি। জনপ্রতিনিধির লোভ লালশার এবং ক্ষমতার দাপটে ইচ্ছেমত স্বজনপ্রীতি করে সরকারি উপকারভোগী বন্টন করে।
জনপ্রতিনিধি বিচারের আসনে বসে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করে ধরাকে সরা করে আর সরাকে ধরা করে। যার কারনে একদিকে সাধারণ অসহায় মানুষ গুলো ন্যায় বিচার ও সরকারি উপকারভোগী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর অন্যাদিকে নানা কাজের অনিয়মের কারনে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ হয়ে ধসে পড়ছে পুকুরে। সরকার প্রধানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
এলাকাবাসিরা আরো জানান, কাঁচা রাস্তা থেকে শুরু করে ইটের সোলিং রাস্তা যেন খানাখন্দ পরিণত হয়েছে।
এলজিইডির কর্তৃকপক্ষ ও ইউপি জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতায় আজও উন্নয়নে আলোয় আলোকিত হয়নি এই গ্রামটি। আর কত বছর হলে রাস্তার জনর্দূভোগে রক্ষা পাবে মানুষ এমন খোপের সাথে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। গ্রামের রাস্তা দিয়ে জনপ্রতিনিধরা প্রতিনিয়ত চলাচল করলেও শেষে আর ফিরেও রাস্তার দিকে তাকায় না কেউ। আজ হোক আর কাল হোক রাস্তা পিচ হবে জনপ্রতিনিধিরা একেরপর এক সময় বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, মন্দির ও বিভিন্ন সভা অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নের আশ্বাস দিয়ে আসলেও রাস্তার খানাখন্দের চলাচলে এখনো চরম দুর্ভোগে ভুগছেন মানুষ।
তবে এই ইউনিয়নের জনসাধারণের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারে যে জনপ্রতিনিধি বসে সেই মনেই করে ইউনিয়ন আমার। ইউনিয়নে সরকারি উপকারভোগী যা আসে তা বন্টনে স্বজনপ্রীতি করে ইউপি জনপ্রতিনিধি। স্বজনপ্রীতি কারণে উপকারভোগী ঠিকঠাক পায় না ইউনিয়নবাসী।
বেশিরভাগ ইউনিয়নের ছিন্নমূল ও অসহায় গরীব মানুষ গুলো বঞ্চিত হয়। বিশেষ করে এই কাশেমপুর গ্রামে অবহেলিত এলাকার উন্নয়ন ও ছিন্নমূল ও অসহায় গরীব মানুষের দিকে ইউপি জনপ্রতিনিধি ফিরেও তাকায় না।
ইউপি জনপ্রতিনিধিদের অনিয়ম ও দুনীতি এড়াতে ইউনিয়নবাসীর যে গুলো উপকারীভোগী ও বরাদ্দ গুলো আসে সেই সব গুলো নিজের পছন্দমতো ইউপি সদস্যের মাধ্যমে বন্টন ও বরাদ্দ কাজ করানো হয়।
তাছাড়া রাস্তা গুলো জোড়া তালি দিয়ে করা হয় সংস্থার। আর এই রাস্তার সংস্কারের নামে করা বরাদ্দ টাকা হরিলুট। আজও পর্যন্ত কাশেমপুর গ্রামে রাস্তায় পিচ ও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।
সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, সদর উপজেলার কাশেমপুর বিরুপুকুর নাম এলাকায় একটি কাঁচা রাস্তাটি আজও কোনো জনপ্রতিনিধি পাঁকা করণ করতে পারেনি। এই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন এলাকার মানুষ চলাচল করে থাকে। কিন্তু রাস্তাটি আজও পর্যন্ত পাঁকা করণ না হওয়ায় বৃষ্টি হলেই দীর্ঘ বছর যাবত কাঁদা পানিতে পিচলে পড়ে চরম জনর্দূভোগে চলাচল করে আসছে মানুষ। বৃষ্টি হলে রাস্তার মাটি ধসে পড়ে পুকুরে।
এছাড়াও কাশেমপুর পূর্বপাড়ার মাজেদের বাড়ি হতে এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের বাড়ির অভিমুখে ইটের সোলিং রাস্তাটি জরাজীর্ণ হয়ে ইট উঠে গেছে। আর রাস্তার বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ভেঙ্গে যেয়ে ইট ধসে পড়ছে পুকুরে। কাশেমপুর পূর্বপাড়ার ম্যারাজের মোড় হতে বাইপাস সড়ক অভিমুখে সিদ্দিক হাজির গ্যারেজ পর্যন্ত ইটের সোলিং রাস্তাটি সংস্কারের ছয় মাস যেতে না যেতেই রাস্তাটি জরাজীর্ণ হয়ে রাস্তার ইট উঠে গেছে। কাশেমপুর সিটি কলেজ মোড় হতে ম্যারাজের মোড় পর্যন্ত পিচের রাস্তাটি ছালচামড়া ও ইটের খোয়া উঠে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। কাশেমপুর ইউপি মহরুম সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামের বাড়ি হতে আলি দোকানদার বাড়ির অভিমুখে রাস্তাটি ইট উঠে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা ভুমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি শেখ শওকত আলী বিটিসি নিউজকে বলেন, অবিলম্বে জনদুর্ভোগ লাগবের স্বার্থে স্থানীয় জনপ্রশাসন জনপ্রতিনিধি রাস্তাগুলি মেরামতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
সাাতক্ষীরা এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কাছে আকুল আবেদন করে মনিরুল ইসলাম দাবি জানিয়েছেন রাস্তা গুলো পাঁকা করণ করা হোক।
কাশেমপুর এলাকার সুমন বিটিসি নিউজকে বলেন, কোনো কাজ হবে না দেখা দেখি সার আমাদের গ্রামের মতো অনুন্নত গ্রাম আগরদাড়ী ইউনিয়নে কোথাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
জিয়াউর রহমান বলেন দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন, কিন্তু দেখার কেউ নেই। এসব রাস্তা দিয়ে মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তায় চলাচলে চরম জনদূর্ভোগে মানুষ। এলজিইডি প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তদারকির অভাবে এবং দায়িত্বে উদাসীনতায় কাশেমপুর গ্রামের ইটের সোলিং ও কাচা রাস্তাগুলো পাকাকরণ হচ্ছে না বলে ক্ষোভের সাথে অভিযোগ এলাকাবাসির।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কাশেমপুরবাসী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিমো. সেলিম হোসেন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.