সাতক্ষীরায় আগরদাড়ী ইউপিতে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ!

 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১০নং আগরদাড়ী ইউনিয়নে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৭৮২টি অসহায় দুস্থ মানুষের পরিবারের জন্য ১০ কেজি করে চাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃক ঈদ উপহার হিসেবে আগরদাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে ৩০কেজি ওজনের বস্তা মোট ১৭.৮২০ মে.টন ভিজিএফ’র চাল দিয়েছেন।
জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক ভিজিএফ’র চাল বিতরণের অনিয়মের কর্মকান্ড এড়াতে কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণের আগের দিন কার্ড প্রতি হিসাব করে প্রত্যেক ইউপি সদস্যদেরকে চালের বস্তা ভাগ করে দেওয়া হয়। ভাগবটেয়া চাল কেউ কেউ ইউপি সদস্যরা নিজেই উপস্থিত থেকে আবার কেউ কেউ সদস্যরা তাদের কাছের লোকের মাধ্যম দিয়ে চাল বিতরণ করে। তাছড়া ইউপি চেয়ারম্যানের ভাগের চালও তার কাছের লোকের মাধ্যম দিয়ে কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়।
তবে ইউনিয়নে পরিষদে ট্যাগ অফিসার ও ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এই চাল বিতরণ করার নিয়ম থাকলেও তাদের কাগজ কলমে ঠিকঠাক থাকলেও ট্যাগ অফিসার ও চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ একাধিক ব্যক্তিদের।
সূত্র জানায়, গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ’র চাল বিতরণের সময় কাগজ-কলমে ঠিকঠাক থাকলেও ট্যাগ অফিসার ও চেয়ারম্যানের অনুপস্থিত থাকার কারণে অনেকে চালের কার্ডধারীরা চাল পায়নি। ১৭৮২ জনের চালের কার্ডের মধ্যে ইউপি মহিলা মেম্বার ১৬০ জনের চালের কার্ড ভাগ পায়। আর অসহায় দুস্থ অনেকে কার্ডধারী মানুষ চাল না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসে বলে একাধিক সূত্র জানায়।
আগরদাড়ী ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের কাশেমপুর এলাকার বৃদ্ধ মইজউদ্দীন সরদার অভিযোগ করে বলেন, আগরদাড়ী ইউপি ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর রেবেকা খাতুন তাকে ১০কেজি একটি ভিজিএফ’র চালের কার্ড দেয়। তিনি গত ১৩জুন আগরদাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণের দিন সকালে আনতে গেলে সেখানে গিয়ে মহিলা মেম্বর রেবেকা খাতুনকে পাওয়া যায়নি এবং মহিলা মেম্বরের ভাগের চাল কে বা কারা বিতরণ করছে এমন কোনো মানুষ খুঁজে পায়নি।
পরে মইজউদ্দীন সরদার চাল বিতরণের লাইনে দাঁড়ালে মইজউদ্দীন সরদারকে লাইনে দাঁড়ানো লোকজন বলেন, এখানে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্ডধারীকে চাল দিচ্ছে। ওই সময় ইউপি মেম্বর মজনুকে পেয়ে বিষয়টি বললে তিনি তখন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান চাল সব মেম্বরদের মাঝে ভাগ করে দিয়েছেন।
মহিলা মেম্বর রেবেকা খাতুনের চাল তার লোকজন ভ্যানে করে নিয়ে গেছে। তবে আগামীতে আমার কাছে এসো, আমি আপনার চাল দিবো।
এবিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর রেবেকা খাতুন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আমার ১৬০জনের চালের কার্ড দিয়েছেন। ওই চাল বিতরণের জন্য আমার মেয়ের কাছে রেখে আমি উপজেলায় গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মেয়ের কাছ থেকে চাল কার্ডধারী বিহীন লোকজন চাল কাড়াকাড়ি করে নিয়ে গেছে। সেই জন্য সমস্যা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মো. সেলিম হোসেন #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.