বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে নিকটবর্তী জলসীমায় চীনের দাবি প্রতিরোধে যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন। রোববার জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হিরোশিমায় জি-৭ সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠকে ‘হাত মেলান’ তারা।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, গ্রুফ অব সেভেন বা জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়া উন্নত অর্থনীতির নেতারা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ‘জবরদস্তি’ মোকাবিলায় আলোচনা করেছেন।
টোকিও ও হ্যানয় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীরতর করছে। কারণ উভয়ই পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের সঙ্গে আঞ্চলিক বিরোধে জড়িত। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ভিয়েতনামের অবকাঠামো প্রকল্প এবং করোনভাইরাস মহামারী থেকে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য নীতি পদক্ষেপের জন্য প্রায় ৬০ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ইয়েন (৪৪০ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের সরকারি উন্নয়ন সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরে একটি চীনা গবেষণা জাহাজ এবং ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের আচরণের পর টোকিও-হ্যানয়ের মধ্যে যৌথ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি এলো। ওই কর্মকাণ্ডের কারণে চীন ও ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে সার্বভৌম অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে ভিয়েতনাম।
চীনা ও ভিয়েতনামী জাহাজগুলো গত সপ্তাহে একাধিকবার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল। সেসময় চীনের একটি গবেষণা জাহাজ হ্যানয়ের স্বতন্ত্র বা একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইইজেড) এর মধ্যে চলে গিয়েছিল। পরে বিশেষজ্ঞরা বলেন, সেটি সম্ভবত একটি জরিপ জাহাজ ছিল। কোনো ধরনের বার্তা ছাড়াই এই ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটনালে সেটিকে শত্রুতাপূর্ণ হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়।
ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাম থু হ্যাং বলেন, চীনা জাহাজগুলো ‘ভিয়েতনামের সার্বভৌম অধিকার এবং এখতিয়ার লঙ্ঘন করছে’। ফলে নিজেদের অধিকার রক্ষায় তারা ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিচ্ছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.