নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গ্রিন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, যিনি এক সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে গভীর সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন, তার বিরুদ্ধে নতুন ধরনের অভিযোগ উঠেছে। রিয়েল এস্টেট ব্যবসার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার পর, তিনি রাজনৈতিক সাপোর্ট এবং প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছিলেন, এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুর রাকিবের ছেলে, রাজশাহী শহরে আসার পর তার জীবন শুরু হয়েছিল একেবারে নিচু স্তর থেকে। কিন্তু দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি ব্যবসা পরিচালনা করতে শুরু করেন এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ম সদস্য ও সাবেক রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হন। যা লিটন ও তার পরিবারে সাথে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের অসংখ্য ছবি ও ভিডিও প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
তবে সম্প্রতি তিনি রাজনৈতিক অবস্থান পাল্টে বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন, যা চমকপ্রদ এবং প্রশ্ন তৈরি করেছে।
তবে, তার ব্যবসায়িক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, বিশেষ করে একাধিক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতারণা করার বিষয়টি। তিনি একি ফ্ল্যাট বারবার বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন, এবং এই কারণেই তাকে ব্যবসায়িক সংগঠন থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
এমনকি, তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের প্রতি হুমকির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি, রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক নতুন প্রভাত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এমএ হাবিব তার অফিসে গেলে, মোস্তাফিজ তাকে শারীরিকভাবে আঘাতের হুমকি দেন এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে মারধর করার কথা স্বীকার করেন। এ ধরনের ঘটনায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, ৫ আগস্টের পর, মোস্তাফিজ রাজনীতি এবং তার সম্পর্কের মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসেন। তিনি বিএনপি এবং জামায়াতের নেতাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেন, এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের সাথে উপস্থিত হন।
তবে মোস্তাফিজের সাথে ঘুরলেও তার দায় নিতে চাচ্ছেন না বিএনপির নেতারা। আর জামায়াত নেতারা বলছেন, মোস্তাফিজের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রতারণা এবং হুমকির অভিযোগ তুলে ধরা হলেও, মোস্তাফিজের বিষয়ে অনেকেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো খণ্ডন করেছেন এবং বলেছেন যে, তারা তার সাথে একাধিক বিষয়ে সাক্ষাৎ করেছেন, কিন্তু এর বেশি কিছু নয়।
এব্যাপারে কথা হয় নতুন প্রভাতের সাংবাদিক এমএ হাবিবের সাথে তিনি জানান, মোস্তাফিজের এ ধরনের ঘটনা সংবাদ কর্মীদের জন্য একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই ধরনের হুমকি এবং সহিংসতা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সংবাদ সংগ্রহের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ করে।
মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে চলমান আলোচনা, রাজনৈতিক পালাবদল এবং সাংবাদিকদের প্রতি সহিংস হুমকির ব্যাপারে জানতে ফোন দেওয়া হয়। প্রথমে না ধরলেও পরে রিসিভ করে বলেন, সাংবাদিক হাবিবের সাথে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল পরে ব্যাপারটা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছি। এছাড়া এসমস্ত বিষয় নিয়ে এর আগে আমার বিরুদ্ধে বহুবার নিউজ হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) / রাজশাহী। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.