নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিকতা নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। তাতে সাংবাদিকদের নূন্যতম যোগ্যতা হবে স্নাতক। তবে অভিজ্ঞতার আলোকে শর্ত শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে পাবনা প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, সাংবাদিকের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে স্নাতক। তবে কোনো সাংবাদিকের সাংবাদিকতায় ৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা থাকলে তা শিথিল করা হবে। সাইবার নিরাপত্তা বিধান নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। সাংবাদিকবান্ধব সরকারের পক্ষে সাংবাদিকদের জন্য ভালো কিছুই করবে এমনটা আশা করা যায়।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের আজ বেতন দেয়া হয় না। তারা মাঠ পর্যায়ে সম্মান পাচ্ছেন না। এজন্য গণমাধ্যমের মালিকের এগিয়ে আসতে হবে। ওয়েজ বোর্ড মালিক পক্ষরা মানতে চান না। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকেও মামলা দিয়ে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করে রেখেছেন। একজন সাংবাদিক ২২ ঘন্টা কাজ করবে আর মালিকেরা বেতন দিবে না এটা হতে পারে না। এজন্য সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সভায় পেশাগত বিভিন্ন দিক তুলে ধরা সাংবাদিকরা বলেন, সাংবাদিকতায় বড় বাঁধা সাইবার নিরাপত্তা বিধানসহ নানা প্রতিকূলতা। সংবাদে ক্ষুব্ধ হলে প্রেস কাউন্সিলের স্বরণাপন্ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এজন্য সাইবার নিরাপত্তা বিধানসহ আলাদা আইনের প্রয়োজন নেই। এছাড়াও মূলধারার বাহিরে ভুঁইফোড় সাংবাদিকদের উত্থান ঘটেছে। এজন্য সাংবাদিকতার নূন্যতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে হবে। মূলধারার সাংবাদিকের বেতন-ভাতার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব (অতিরিক্ত সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, বর্তমান সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ, সাবেক সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামান আক্তার, সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা প্রমুখ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.