সবচেয়ে কম বয়সের ‘গোল্ডেন বয়’ ইয়ামাল

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: অবিশ্বাস্য যে যাত্রা শুরু করেছেন, বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই আরও কত না রেকর্ডের জন্ম দেবেন লামিনে ইয়ামাল। সর্বকনিষ্ট ফুটবলার হিসেবে ইতোমধ্যে দারুণ কিছু ইতিহাসের জন্ম দেওয়া এই স্প্যানিশ ফুটবলার এবার জিতলেন সবচেয়ে কম বয়সে ‘গোল্ডেন বয়’ পুরস্কার।
ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতে খেলা ২১ বছর বা এর চেয়ে কম বয়সীদের মধ্যে সেরা ফুটবলারকে পুরস্কারটি দেয় ইতালিয়ান সংবাদপত্র তুত্তোস্পোর্ত। ২০২৪ সালের সেরা হিসেবে বুধবার ইয়ামালের নাম ঘোষণা করা হয়।
২০২৩ সালে পুরস্কারটির লড়াইয়ে সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন ইয়ামাল। বছর ব্যাপী দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে এবার তিনি উঠে বসলেন সেরার আসনে, ১৭ বছর চার মাস বয়সে।
ইয়ামাল মূলত নজর কাড়েন গত মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে। মৌসুম জুড়েই দ্যুতি ছড়ান তিনি।
এরপর ডাক পান স্পেন জাতীয় দলে। সেই ধারাবাহিকতায় সবচেয়ে কম বয়সে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে মাঠে নামার পর, জুন-জুলাইয়ের ওই আসরে সর্বকনিষ্ট খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা জয়ের স্বাদও পান ইয়ামাল। আসর জুড়ে চমৎকার পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়রাও নির্বাচিত হন তিনি।
এবারের ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে সবচেয়ে কম বয়সে অনূর্ধ্ব-২১ বছর বয়সী পুরুষ ফুটবলে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার কোপা অ্যাওয়ার্ডও জেতেন ইয়ামাল।
চলতি মৌসুমেও একই ছন্দে ছুটছেন এই তরুণ সেনসেশন। গোল করা ও করানোয় দারুণ পারদর্শী এই ফুটবলারকে তাই সেরা হিসেবে বেছে নিতে খুব একটা ভাবতে হয়নি তুত্তোস্পোর্তের নির্ধারিত জুরি বোর্ডের। ৫০০ পয়েন্টের মধ্যে ৪৮৮ পয়েন্ট পেয়ে সেরা হওয়ার পর তুত্তোস্পোর্তে প্রকাশিত ভিডিওবার্তায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়ামাল।
“এই পুরস্কার জিততে পারা দারুণ এক সম্মান। একটা স্বপ্ন, আমি খুব খুশি। তুত্তোস্পোর্ত ও বিচারকদের ধন্যবাদ। বার্সেলোনা ও স্পেন জাতীয় দলের সতীর্থ ও কোচদের আমি ভুলতে চাই না। আমি খুব খুশি এবং সামনে আরও সাফল্য পেতে মুখিয়ে আছি।”
২০০৩ সালে পুরস্কারটি দেওয়া শুরু করে তুত্তোস্পোর্ত। এর আগে ওয়েইন রুনি, লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপে, আর্লিং হলান্ডের মতো তারকারা জিতেছেন ‘গোল্ডেন বয়।’ গতবার জেতেন রেয়াল মাদ্রিদের জুড বেলিংহ্যাম। ভবিষ্যতের সেরাদের সেই তালিকায় এবার যোগ হলো ইয়ামালের নাম।
সব মিলিয়ে বার্সেলোনার চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে পুরস্কারটি জিতলেন ইয়ামাল। মেসি ও ইয়ামাল ছাড়াও জেতেন গাভি ও পেদ্রি। আর কোনো ক্লাবের তিনবারের বেশি নেই এই অর্জন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.