রংপুরপ্রতিনিধি: রংপুরে একটি সংঘবদ্ধ সরকারী প্রকৌশলীদের হাতে জিম্মি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর,অবশেষে অভিযোগ -শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
# কার্যাদেশের আগেই কাজ দেখিয়ে বিল প্রদান।
# কার্যাদেশের ৩ থেকে ৬ দিনের মধ্যে ৬৫ ভাগ বিল প্রদান।
# ঠিকাদারকে বাধ্য করে নিজেরাই কাজ করার অভিযোগ।
# নামে বেনামে সম্পত্বির পাহাড়।
# ভবন স্থানান্তর সনদ ও ঢালাইয়ের তারিখ নিতেও উৎকোচ।
# উৎকোচ না দিলে ঠিকাদারদের নানাভাবে হয়রানি।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের রংপুর সার্কেল একটি সংঘবদ্ধ সরকারী প্রকৌশলীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। অভিযোগে বলা হচ্ছে, সিন্ডিকেটটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সার্কেলের নীলফামারী জেলায় কর্মরত সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের। একাধিক ঠিকাদার এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিস্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন করে এর প্রতিকার চেয়েছেন। অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখা থেকে এ ব্যপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সোমবার সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে আনা পছন্দের ঠিকাদারদের বড় বড় কাজ প্রদান, কার্যাদেশের আগেই কাজ দেখিয়ে বিল প্রদান, ঠিকাদারদের চাপ প্রয়োগ করে নিজস্ব সিন্ডিকেট দিয়ে কাজ করা, ৩ থেকে ৬ দিনের মধ্যে ৬৫ ভাগ কাজ দেখিয়ে বিল দেয়া এবং নামে বেনামে কোটি কোটি কাটার সম্পদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের। অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখা ও মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্যের সন্ধান মিলেছে।
তবে অদৃশ্য কারনে সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তদন্ত কমিটির শুনানীতে অংশ নেয়া অভিযুক্ত বিভিন্ন পর্যায়ের প্রকৌশলীরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখা এবং রংপুর সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলরীর দপ্তর সূত্রে জানা যায়-গত ২৯ জুন শিক্ষামন্ত্রীসহ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিভিন্ন দপ্তরে রংপুর মহানগরীর কাচারী বাজার এলাকার একজন ঠিকাদার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের –
# নীলফামারীর সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের, # লালমনিরহাটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু সাঈদ আকন্দ,
# দিনাজপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হক,
# রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাসরিন আখতারের যৌথ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৪ আগস্ট মন্ত্রণালয় থেকে অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ শাখার পরিচালক মোঃ রাহেদ হোসেনকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা রাহেদ হোসেন গত ১১ আগস্ট রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে সরেজমিনে শুনানীর জন্য নোটিশ ইস্যু করেন (যার স্মারক নং- ৩৭.০৭.০০০০.০০৮.২৭.০০৩.২১.৪৩২)। ওই চিঠির নির্দেশনা মোতাবেক গত সোমবার (১৬ আগস্ট) রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীতে অভিযুক্ত কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান, নীলফামারীর সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের, লালমনিরহাটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু সাঈদ আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#রংপুর সদর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানের কাছ থেকেও পৃথক পৃথকভাবে শুনানী গ্রহন করেন।
তারপর গতকাল মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সরেজমিনে কয়েকটি কাজ নিজেই পরিদর্শন করেন তদন্তকারী কর্মকতা।
উক্ত অভিযোগ টি ছাড়াও, গত ১০ আগস্ট নীলফামারীর সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহেরের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে নিজে এবং নিজের সিন্ডিকেট দ্বারা কাজ করা সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে, অপর আরও একটি নতুন অভিযোগ দায়ের করেন অধিদপ্তরের বিভিন্ন শাখায়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ওই তিন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে উপস্থাপিত দলিলাদি এবং তথ্যের বিষয়ে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তদন্তের শুনানীতে আনা হয়-
# নীলফামারীর সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের নিজে এবং তার দুই সহোদর ভাই।
# ডোমার উপজেলার আটিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলম ও সহকারী শিক্ষক কালামকে দিয়ে।
সিন্ডিকেট তৈরি করে জোড়পূর্বক অনেক ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ নিয়ে নামকাওয়াস্তে কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তদন্ত কমিটির কাছে এর প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা ৩০০০ স্কুল প্রকল্পের আওতায় সৈয়দপুরের সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয়, আইসিটি কলেজ প্রকল্পের আওতায় ডোমার মহিলা কলেজ ও নীলফামারী মডেল কলেজ (সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামে প্রক্রিয়াধীন), সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ডিমলার জটুয়াখাতা উচ্চ বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের কিশোরীগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, ২০১৬ প্রকল্পের আওতায় উত্তর ডোমারের ভোগডাবুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের মাগুড়া কলেজ, জলঢাকার চ্যারেংগা ঝাড়বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী সদরের দুবাছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মেরামত ও সংস্কার প্রকল্পের আওতায় ডোমারের চিলাহাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চিলাহাটি সরকারি কলেজ, ডোমার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং নীলফামারী মহিলা কলেজ, নীলফামারী সরকারি কলেজ (কলেজ ফান্ড) নির্মান কাজ সমুহের প্রগেস রিপোর্টসহ বিভিন্ন তথ্যের বিষয়ে শুনানী হয়।
এছাড়াও আবু তাহেরের বিরুদ্ধে চলমান বেসরকারী কয়েকটি স্কুলের মেরামতসহ আসবাবপত্র সরবরাহের কাজেরও তথ্যের বিষয়ে বক্তব্য নেয়া হয়।
তদন্ত কমিটির শুনানীতে উক্ত অভিযোগের সত্যতা সন্ধানের প্রমান নিশ্চিত-যে আবু তাহের স্বাক্ষরিত প্রগ্রেস রিপোর্ট অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যাদেশ ২৪-০৬-২০২১ তারিখে দেয়া হলেও কার্যাদেশের মাত্র ৫ দিনের মধ্যে ৪৫ ভাগ প্রগ্রেস দেখিয়ে ওই কাজটিতে ৬৫ লাখ টাকা বিল দেয়া হয়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মেসার্স কারিব এন্টারপ্রাইজ এর নামে এই কাজটি সহকারি প্রকৌশলী আবু তাহের নিজেই করার বিষয়ে শুনানী হয়। শুনানীতে
আরও প্রমান পাওয়া যায় – জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যাদেশ ২৭-০৬-২১ তারিখে দেয়া হলেও দুই দিনের ব্যবধানে ২৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে ৩০ জুন তারিখে ৩১ লাখ টাকা বিল প্রদান করা হয়। এই কাজটিও আবু তাহের ক্রয়ের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়া বীজ ভান্ডারকে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু কাজ বিক্রি করতে না চাওয়ায় ঠিকারাদারকে বিল দিতে অস্বীকৃতি জানান আবু তাহের।
এ নিয়ে ব্যাপক কথাকাটাকাটি ও হট্রগোল হয় আবু তাহেরের সাথে ওই ঠিকাদারের। পরে মোটা অঙ্কের অর্থ বাণিজ্যের বিনিময়ে ওই বিল প্রদান করেন সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি আবু তাহেরের বক্তব্য শোনেন।
এছাড়াও ২০১৯-২০ সালের এক্সটেনশন অব নন গভর্নমেন্ট বিল্ডিং প্রকল্পের আওতায় ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যাদেশে বিল্ডিংয়ের পুরাতন ছাদ ভেঙ্গে নতুন ছাদ নির্মানের মাধ্যমে উর্ধমুখি সম্প্রসারণ করার কথা বলা হলেও ছাদ না ভেঙ্গেই পুরাতন ভবনের ওপরে উর্ধমূখি ভবন নির্মান করায় ফলে ভবন ঝুঁকিপূর্ন হওয়া এবং এই কাজটিও সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের তার নিজেস্ব সিন্ডিকেট দিয়েই করে এবং দরপত্র মূল্যের ৭১ লাখ টাকার বিল উত্তোলন করার বিষয়টিও স্পষ্ট শুনানী হয়।
অন্যদিকে জলঢাকার চেরেংগা ঝারপাড়া নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয় ১০ মে ২০২০ তারিখে। কিন্তু সেটি দীর্ঘদিনেও কাজ হয় নি। কিন্তু চলতি বছরের ১ জুন থেকে ৩০ জুনের মধ্যে হঠাৎ করেই ২০ ভাগ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে ৩২ লাখ টাকা বিল প্রদান এবং এই কাজটিও আবু তাহের নিজ সিন্ডিকেট দিয়ে করে বিল তুলে নেয়ার বিষয়ে শুনানী হয় সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহেরের সাথে।
শুনানীতে তাহেরের বিরুদ্ধে ওঠা একই প্রকল্পের সদর উপজেলার ফকিরগঞ্জ দাখিল মাদরাসার ভবন নির্মানের কার্যাদেশ ১০ জুন ২০২১ তারিখে দেয়া হলেও কার্যাদেশের ১০ দিন আগে কাজ শুরু দেখিয়ে ২৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে মেসার্স তোতা এন্টার প্রাইজের নামে ১৯ লাখ ৯৭ হাজার বিল দেয়া এবং এই কাজটিও আবু তাহের নিজ সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালনার অভিযোগের বিষয়ে শুনানী হয়। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাভেড়ি জুম্মাপাড়া দাখিল মাদরাসার ভবন নির্মানের কার্যাদেশ ১৫ জুন ২০২১ তারিখে দেয়া হলেও কার্যাদেশের ১৫ দিন আগেই কাজ শুরু দেখিয়ে ২০ ভাগ কাজ সম্পন্ন দেখানো এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা না হওয়ার কারনে বিল প্রদান না করার বিষয়ে শুনানী হয়।
আবারও, একই প্রকল্পের আওতায় আবু তাহের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে উঠা ডিমলার জটুয়াখাতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভবন নির্মানের কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে দিনাজপুরের সদর উপজেলার মেসার্স ই আমান কন্সট্রাকশনের নামে সমুদয় বিল উত্তোলন করার বিষয়টি নিয়েও শুনানী হয়।
অন্যদিকে ২০১১ সালে রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে কর্মরত থাকাকালীন অবস্থায় “রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে” অবকাঠামো নির্মাণের ১৫টি গ্রুপের প্রায় ৩ কোটি টাকার দরপত্র আহবান না করেই, গোপনে কয়েকজন ঠিকাদারকে কাজ দেয়ার নামে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া সিন্ডিকেটের সাথে আবু তাহেরের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে শুনানী হয়।
শুনানীতে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট প্রধান সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের তাহেরের বিরুদ্ধে উৎকোচ বাণিজ্য, ভবন হস্তান্তর সনদ নিতে গেলেও ঘুষ চাওয়া, না দিলে বিল প্রদানে টালবাহনা করা, ঢালাইয়ের তারিখ নিতে গেলে নগদ ২০ হাজার টাকার ঘুষ নেয়া, কেউ দিতে না চাইলে তারিখ দিতে গড়িমসি করা, বিল পরিশোধের সময় আবু তাহের ও তার ভাই এবং আত্মীয় স্বজনদের কাজের বিল আগে পরিশোধ করা, বিল প্রতি লাখে ২ হাজার করে টাকা ঘুষ নেয়া, ঘুষ না দিলে কম করে বিল দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
শুনানীতে উঠে আসে সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের রংপুর মহানগরীর মুন্সীপাড়ায় সাত কোটি মুল্যের জমি ক্রয়, তাতে বহতল ভবনের ফাউন্ডেশন, (হোল্ডং নং ১১৯/১, রোড নং-৫) চারতলার কাজ শেষে ৫ ও ৬ তলা নির্মানের কাজ, শালবন মৌজায় ২ কোটি টাকা মূল্যের জমি ক্রয় করে সেখানে বহু ভবন নির্মান, গ্রামের বাড়ির এলাকায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬২ বিঘা জমি ক্রয় করার বিষয়টি ও।
অন্যদিকে তদন্ত রংপুর সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মেনহাজুল হকের বিরুদ্ধে উঠা ঢাকার মোহাম্মদপুরে ২ কোটির টাকা মূল্যের এক হাজার ৬০০ স্ক্রয়ার ফিট ফ্লাট ক্রয় (বাসা নং-২৫, ফ্ল্যাট নঙ -২বি, রোড-৪, মনসুরাবাদ হাউজিং) ও বসবাস, রংপুর মহানগরীর সাতগাড়া মৌজায় ৭০ লাখ টাকা মূল্যের জমি ক্রয় করে সেখানে বাউন্ডারী ওয়াল দেয়া, নিজ এলাকা দিনাজপুরের পার্বতীপুরের ভবানীপুর মৌজায় ১৪ কোটি টাকা মুল্যমানের ৫৩ বিঘা জমি ক্রয়, ঠাঁকুরগাঁও শশুড়বাড়ি এলাকায় ৪ কোটি টাকা মূল্যমানের একটি কোল্ডস্টোরের এক তৃতীয়াংশের মালিকানা ক্রয়ের বিষয়ে অভিযোগের শুনানী হয়।
অন্যদিকে, লালমনিরহাটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু সাঈদ আকন্দের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও তার ভাইসহ কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের অনেক কাজ করা এবং ঠিকাদারদের বিভিন্নভাবে হয়রানির বিষয়েও শুনানী হয়।
অভিযোগের বিষয়ে লালমনিরহাটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু সাঈদ আকন্দ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, উড়ো চিঠির মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টি আমি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে উপস্থিত হয়ে শুনানীতে জানিয়েছি।
অভিযোগের ব্যাপারে নীলফামারী জেলার সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, একটি চক্র উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমার ক্ষতি করার জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে দিয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) আমার নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসব মিথ্যা অভিযোগের কারনে সেটি হলো না। এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। বিষয়টি আমি শুনানীকালে তদন্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
রংপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান আসাদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গত সোমবার( ১৬ আগস্ট) এসব বিষয় নিয়ে আমার কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে তদন্ত কর্মকর্তা শুনানী গ্রহন করেছেন। বিষয়টি এখনও তদন্তাধিন। সেকারণে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না।
এ ব্যপারে রংপুর সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মেনহাজুল হক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগ সমুহের বিষয়ে তিন জন প্রকৌশলীর সাথে গত সোমবার তদন্ত কর্মকর্তা স্বশরীরে রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে শুনানী গ্রহন করেছেন। তবে কবে নাগাদ এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা হবে সেটি জানিনা। এছাড়াও নীলফামারীর সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আমার দপ্তরে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। সেটির বিষয়ে আমরা তদন্ত করার জন্য প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.