শহরের কদমতলা প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ!

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরের কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই বিদ্যালয়ের মুন্নি নামে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ওই সহকারী শিক্ষক মুন্নির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক মুন্নি ক্লাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বাদ তিনি শুধু মোবাইল ফোন দেখে এবং ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। শিক্ষার্থীদের দিয়ে তিনি চা কাপ, প্লেট ধোঁয়ানো থেকে শুরু করে স্কুলে ঝাড়ু দেওয়ায়।
তিনি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বাদ দিয়ে ক্লাস রুমে ঘুমায়। তিনি শিক্ষার্থীদের ঠিকমত ক্লাস নেয় না। স্কুল টাইমে সময় মত স্কুলে আসেন না তিনি। পানি আনা কাজসহ নানা ধরনের কাজ শিক্ষার্থীদের দিয়ে করানো হয় বলে শিক্ষক মুন্নির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয়রা বিটিসি নিউজকে জানান, সহকারী শিক্ষক মুন্নির এসব কর্মকান্ড বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের এক নেতার প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষকদের নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে নানা ধরনের কাজ করায় আসছে।
তারা আরো জানান, বিগত সরকার পরিবর্তন হবার পর তিনি ভোল্ট পাল্টে দিয়ে একটি কুচক্রী মহলের ইন্দনে নতুন করে আবারও এই স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা ভাবে হয়রানি করছে। তবে এই স্কুলের  শিক্ষকরা এতদিন সহকারী শিক্ষক মুন্নির বিরুদ্ধে কেউ খুলতে সাহস পায়নি। তার নানা কর্মকান্ডে এবার মুখ খুলতে সাহস পেয়েছে বলে শিক্ষকরা জানান। এই সহকারী শিক্ষক মুন্নির নানা কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমাদের নামে মিথ্যা প্রচার করে আমার স্কুলের এবং শিক্ষকদের সুনা নষ্ট করছে আমাদের সহকারী শিক্ষক মুন্নি। বিশেষ করে আমি হিন্দু ধর্মের মানুষ হয়ে এই স্কুলের শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় আমার বড় অপরাধ। দেশের পরিস্থিতি সময়ে একটি কুচক্রী মহলের ইন্দনে আমাদের স্কুলের সহকারী শিক্ষক আমাদের স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর নানা হয়রানি করছে।
এসব হয়রানি করার কারনে স্কুলের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে বলে তিনি জানান। আমি ও আমার অন্যান্য শিক্ষকরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তবে এবিষয়ে সোমবার বেলা ১২ টার দিকে সহকারী শিক্ষক মুন্নির সাথে কথা বলার জন্য সরজমিনে স্কুলে গেলে তাকে স্কুলে পাওয়া যায়নি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.