বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইল-লেবানন সঙ্কট গাজা থেকে বিশ্বের মনোযোগ সরিয়ে নিচ্ছে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। যেখানে ইসরাইলি হামলায় চলতি সপ্তাহেও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া লেবানন সংঘাত বাড়ায় গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা অনেকটাই ম্লান হয়েছে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে ইসরাইল এবং ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান উত্তেজনা বেড়ে তা সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। বৈরুতে ইসরাইলের হামলায় হিজবুল্লাহপ্রধান নিহতের পর ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে প্রধান মিত্র ইরান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেবানন সীমান্তে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ চলছে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর।
ইসরাইল এবং হামাস উভয়ই মনে করে লেবানন সংঘাতের ফলে গাজা সংকট শেষ হবে। তবে কয়েকজন বিশ্লেষক, মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কর্মকর্তারা এবং গাজাবাসীরা এ বিষয়ে সন্দিহান।
এখন লেবাননের দিকে সবার ফোকাস থাকার অর্থ গাজার যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হচ্ছে না। গাজা শহরের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী হুসাম আলী বলেন, ‘ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে গত বছরের ৭ অক্টোবর সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে তার পরিবার সাতবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।’ একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে রয়টার্সকে জানান এ কথা।
মঙ্গলবার রাতে ইরান যখন ইসরাইলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, তখন অনেক গাজাবাসী সেই হামলাকে স্বাগত জানায় এই কারণে যে তেহরান তাদের জন্য লড়াই করছে।
হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, ‘আঞ্চলিক উত্তেজনা ইসরাইলের ওপর গাজায় একটি চুক্তি করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে।’
তবে মিশরের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পত্রিকা আল-আহরামের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আশরাফ আবুয়েলহাউল মনে করেন, লেবানন যুদ্ধের দিকে মনোযোগ চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাজার যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘এমনটা নয় যে মিডিয়ার মনোযোগ অন্য কোথাও সরে যাচ্ছে। এটি সত্য যে বিশ্বের কেউ এখন একটি চুক্তি বা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করার কথা বলতে পারছে না। ফলে ইসরাইলের সামরিক আক্রমণ এবং পরিকল্পনা চালিয়ে যাওয়ার পথে কোন বাধা থাকছে না।’
গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। বৃহস্পতিবারও স্থানীয় চিকিত্সকরা জানান গত ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে ৯৯ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.