লটারিতে জেতা ১২৭ কোটি টাকার একটি অংশ বন্ধুদের দিলেন দম্পতি!

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লটারিতে মোটা অঙ্কের অর্থ পেলে অনেকেই সেই কথা বন্ধুবন্ধবের কাছে প্রকাশ করতে চান না, পরে তারা ধার চেয়ে বসেন এ কথা ভেবে। কিন্তু এক ব্রিটিশ দম্পতি কী করলেন লটারিতে ১২৭ কোটি টাকা জিতে, তা জানলে চোখ কপালে ওঠবে আপনার।
শ্যারন ও নাইজেল ম্যাথার দম্পতি ব্রিটেনে থাকেন। লটারি জিতে নিজেদের ভাগ্য পাল্টানোর প্রতি বরাবর দুজনেরই ঝোঁক ছিল।
২০১০ সালের আগে পর্যন্ত একাধিকবার লটারির টিকিট কেটেও তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু ফল মেলেনি। কিন্তু ২০১০ সালে তাদের ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে।
ইউরোপের অন্যতম বড় এবং জনপ্রিয় লটারি ইউরোমিলিয়নস লটারি জ্যাকপট।  ক্রোয়েশিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, স্পেন ও সুইডেনসহ ইউরোপের ১৮ দেশের নাগরিক এতে অংশ নিয়ে থাকেন। প্রতি শুক্রবার রাতে টিকিট কাটতে হয়।
শ্যারন-নাইজেলের মতো একাধিক মানুষ জ্যাকপট পেয়েছেন বা পেয়ে চলেছেন। কিন্তু ২০১০ সালে জ্যাকপট জেতার পর ওই দম্পতি এমন কিছু করেছিলেন, যা তাদের শিরোনামে নিয়ে আসে।
ওই বছর এক কোটি ২৪ লাখ আট হাজার পাউন্ড লটারি জেতেন তারা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২৭ কোটি টাকা।
এ রকম একটি বিশাল অঙ্কের লটারি পেলে আগে সবাই নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করার কথা ভাবেন। কেউ স্বপ্নের বাড়ি কেনেন, কেউ বিদেশ ভ্রমণ করেন। শ্যারন-নাইজেলের চিন্তাভাবনা একেবারে আলাদা ছিল।
লটারির টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত দুজনেই পুরো বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। টাকা হাতে পাওয়ার পর তারা দুজনেই নিজেদের ৩০ জন কাছের মানুষের নাম বাছাই করতে শুরু করেন।
পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে থেকে যৌথভাবে ৩০ জনকে বেছে নেন তারা। তার পর প্রত্যেকের কাছে লটারির একটি অংশ চেক মারফত পাঠিয়ে দেন।
সিংহভাগ নিজেদের জন্যই রেখেছিলেন। দুই ছেলেমেয়ের জন্যও ভাবতে হয়েছিল তাদের।
কিন্তু শ্যারন-নাইজেল চেয়েছিলেন যতগুলো সম্ভব মানুষের জীবন বদলাতে। তাই এমন অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।
এ ছাড়া ম্যানচেস্টারের একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও বড় অঙ্কের অর্থ দান করেছিলেন তারা। শিশু এবং বয়স্কদের দেখভাল করে এ সংস্থা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.