রেকর্ড গড়ে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলেন মেসি

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রমাগত দীর্ঘ হচ্ছিল ইনজুরির সময়টা। বাড়ছিল ভক্তদের অপেক্ষাও। সবুজ ঘাসের গোল বলটাও যেনো মিস করতে শুরু করেছিলো আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসিকে। অবশেষে মাঠে ফেরার গানে শুধু সাড়াই দেননি এলএমটেন। ৩৭ বছর বয়সে ইনজুরি থেকে দুই মাস দুই দিন পর ফিরে জোড়া গোলে রিতীমত মাতালেন মঞ্চ, মেজর লিগে রেকর্ড গড়ে পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ভক্তদের ভাষায়, ‘দ্য কিং ইজ ব্যাক’।
দুইয়ের গল্পে তাল মিলিয়ে ম্যাচের ২ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। সেখান থেকেই উত্থানের গল্প লেখেন লিওনেল মেসি। ২৬ এ প্রথম ৪ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় গোল। গল্পের এখানেই শেষ নয়। যোগ করা সময়ের ৮ মিনিটের মাথায় বন্ধু সুয়ারেজের স্কোরশিটে নাম লেখানোর গোলে করেছেন অ্যাসিস্ট। এবারের উদযাপনটাও ছিল ভিন্ন।
ম্যাচ শেষে লিওনেল মেসি বলেন, সত্যি কথা বলতে, আমি কিছুটা ক্লান্ত। মায়ামি গরম এবং আর্দ্রতা সহায়ক নয়। তবে আমি মাঠে ফিরতে উন্মুখ ছিলাম। মাঠ থেকে দূরে থাকার সময়টা অনেক লম্বা হয়ে গিয়েছিল।
ফিলাডেলফিয়ার বিপক্ষে দলকে ৩-১ গোলে জয়ের পথে এদিন নতুন এক রেকর্ডও গড়েছেন মেসি। এই ম্যাচের পর মেজর লিগ সকারে ১৯ ম্যাচে মেসির গোল ১৫ এবং অ্যাসিস্টও ১৫টি। যা এমএলএসের ইতিহাসে দ্রুততম ১৫ গোল ও ১৫ অ্যাসিস্টের রেকর্ড। ফিরে আসার অনুভুতিটাও তাই বিশেষ।
লিওনেল মেসি বলেন, ধীরে ধীরে আমি দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করি এবং ভালো অনুভব করতে থাকি। এ কারণে আমি শুরু থেকে মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিই। আমি খুবই আনন্দিত এবং তৃপ্ত।
মেসির ফেরা নিয়ে গত দুমাসে অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে মায়ামি কোচ জেরার্দো মার্টিনোকে। অবশেষে ফুলফিট মেসিকে মাঠে পেয়ে দারুন খুশি মায়ামি কোচ। মার্টিনো বলেন, আমি খুবই আনন্দিত যে লিও ম্যাচটা শেষ করে আসতে পেরেছে। ৯০ মিনিট মাঠে থাকতে পেরেছে সে। মেসি খুব ভালো অনুভব করছে।
ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি ছিল পেশাদার ক্যারিয়ারে মেসির ৮৪০তম গোল। সর্বাচ্চ গোলের রেকর্ডে মেসির সামনে আছেন কেবলই একজন, তারই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.