নিজস্ব প্রতিবেদক:অধ্যাপক ড. এস.এম. আব্দুর রাজ্জাক আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর নতুন উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেছেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আরিফ আহম্মদ চৌধুরী -এর কাছে যোগদানপত্র দাখিল করেন।
গতকাল ২৭ অক্টোবর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর-এর অনুমোদনক্রমে অধ্যাপক ড. এস.এম. আব্দুর রাজ্জাক -কে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর যোগদানের সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপাচার্য, বিভিন্ন ইন্সটিটিউটের পরিচালক, সকল অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধান, শাখা প্রধান ছাড়াও জেষ্ঠ শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
তাঁর যোগদানকে স্বাগত জানিয়েছেন রুয়েটের সর্বস্তরের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এছাড়াও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, ক্লাব, সোসাইটি ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত উপাচার্যকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
তিনি সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে পালাক্রমে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।
তিনি রুয়েটের শিক্ষা, প্রশাসনিক ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে একটি পরিবারের মত ঐক্যবদ্ধভাবে স্ব স্ব দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের সকলের চেষ্টা হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের অন্যতম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা, যাতে এখানকার শিক্ষার্থীরা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও খ্যাতিকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য,রুয়েটের নব-নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম. আব্দুর রাজ্জাক রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অত্যন্ত সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে আসছেন। তিনি ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১৯৯৯ সালে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এরপরে তিনি পর্যায়ক্রমে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। অত্র বিশ^বিদ্যালয়ে তিনি ডীন, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, হল প্রভোস্ট, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন), শিক্ষক সমিতির সভাপতি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি অত্র বিশ^বিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, শৃঙ্খলা কমিটি, অর্থ কমিটি, সিলেকশন কমিটি, ট্রাস্টি বোর্ড অব ওয়েলফেয়ার ফান্ড সহ বিভিন্ন কমিটি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) এর ফেলো।
এছাড়াও তিনি ওঊঊঊ এর জেষ্ঠ সদস্য, IEEE এর জার্নালের সম্পাদক এবং সাবেক সদস্য OSA। এছাড়া তিনি তাঁর গবেষণা কার্যক্রম এবং একাডেমিক কার্যক্রমের স্বীকৃতিস্বরুপ বেশ কয়েকটি সম্মানসূচক পুরস্কার লাভ করেন।
তিনি ২০১৯ সালে ইউনাইটেড গ্রুপ পেপার পুরস্কার লাভ করেন। IEEE H10 HTC থেকে ২০১৯ সালে Coauthor হিসেবে শ্রেষ্ঠ পেপার পুরস্কার লাভ করেন।
তিনি ২০১২ সালে ইতালির TWAS, Trieste থেকে মর্যাদাপূর্ণ তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে খেতাব লাভ করেন। তিনি ২০০৭ ও ২০১০ সালে ডক্টোরাল ও মাস্টার্স উভয় কোর্স চলাকালীন সময়ে গবেষণা কার্যক্রমের স্বীকৃতিস্বরুপ জাপানের রিউকিউস বিশ^বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি সম্মানসূচক পুরস্কার পান।
তিনি ২০০৮ সালে IEEE Region 10 থেকে IEEE ফটোনিক্স সোসাইটি এর স্নাতক ছাত্র ফেলোশিপ পুরস্কার এবং একই বছর জাপানের মারুবুন ফাউন্ডেশন পুরস্কার পান। তিনি অনেক আন্তর্জাতিক জার্নালের রিভিউয়ার হিসেবে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি ১৯৭৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৮৯ সালে কালীগঞ্জ রথীন্দ্রনাথ ইন্সটিটিউট থেকে এসএসসি এবং ১৯৯১ সালে বগুড়ার সরকারী আজিজুল হক কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করেন।
তিনি ১৯৯৫ সালে রুয়েট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ২০০৫ সালে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, ২০০৭ সালে জাপানের রিউকিউস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স অব ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করে।
এছাড়াও তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে পিএইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধিজি, এম হাসান-ই–সালাম (বাবুল) রাজশাহী। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.