বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: রাফিনিয়া ও লামিন ইয়ামালের রেকর্ডের রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। আসরের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে বেনফিকাকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
আর দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে দলটি।
মঙ্গলবার রাতে বার্সার মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সবকটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। যেখানে রাফিনিয়া বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেওয়ার পরপরই সমতা ফেরান নিকোলাস ওতামেন্দি। ইয়ামাল দলকে ফের লিড এনে দেওয়ার পর নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাফিনিয়া।
এদিন ম্যাচের ১১তম মিনিটেই গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়কে পরাস্ত করে বক্সের ডান দিক থেকে চমৎকার ক্রস দেন ইয়ামাল, আর দূরের পোস্টে ভলিতে বল জালে পাঠান রাফিনিয়া।
অবশ্য জবাব দিতে দেরি করেনি বেনফিকা। ত্রয়োদশ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে সমতা টানেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ওতামেন্দি। গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন, বল তার হাতে লেগে জালে জড়ায়।
২৭তম মিনিটে ইয়ামালের নজরকাড়া গোলে আবার এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার ক্রস ধরে ডান দিকে একজনের বাধা এড়িয়ে বক্সের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসেন তরুণ স্প্যানিশ উইঙ্গার। এরপর জায়গা বানিয়ে নেওয়া শটে বল বাঁক খেয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে খুঁজে পায় ঠিকানা। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি।
১৭ বছর ২৪১ দিন বয়সে খেলতে নেমে চ্যাম্পিয়নস লিগে একই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় এখন তিনিই। ইয়ামাল ভেঙেছেন ২০১৪ সালে এফসি বাসেলের হয়ে ব্রিল এমবোলোর ১৭ বছর ২৬৩ দিন বয়সে গোল+অ্যাসিস্টের রেকর্ড।
এরপর ৪২তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়ান রাফিনিয়া। ডিফেন্ডার আলেহান্দ্রো বাল্দে নিজেদের অর্ধ থেকে বল ধরে এগিয়ে পাস দেন বক্সে, বাঁ পায়ের কোনাকুনি নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ২৮ বছর বয়সী তারকা।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০ ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের গোল হলো ১১টি। সঙ্গে অ্যাসিস্ট ৫টি। চ্যাম্পিয়নস লিগের এক আসরে ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলের কীর্তি গড়লেন রাফিনিয়া। বার্সেলোনার হয়েই ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে রিভালদো ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে নেইমার করেছিলেন ১০ গোল।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৭ ম্যাচে অপরাজিত রইল বার্সেলোনা (১৪ জয় ও ৩ ড্র)।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড অথবা লিলের মুখোমুখি হবে পাঁচবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.