বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে ঢাকার আদাবর এলাকার নিজ বাসা থেকে র্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে।
র্যাব-৫ রাজশাহীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন।
একই ভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুর রহমান।
সোমবার র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাজশাহী বাগমারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগের একটি মামলায় এনামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা বাদী হয়ে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, এনামুল হক ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল এবং এনামুল হকের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত মতিউর রহমান ওরফে টুকুসহ ৭৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করে করা হয়। মুনছুর রহমান মামলায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো, ছিনতাই ও গুলি করে তাকে পঙ্গু করার অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার বাদী মুনছুর রহমান উপজেলার রামরামা গ্রামের বাসিন্দা ও গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। তার দায়ের করা মামলায় দুই নম্বর আসামী করা হয় সাবেক এমপি এনামুল হককে। বাগমারায় মামলায় ক্ষমতা হারানোর পর সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক এই প্রথম কোনো মামলার আসামি ছিলেন।
এনামুল হক ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০২৪ সালে তিনি দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। এনামুল হক বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা কমিটির সদস্য। তার গ্রামের বাড়ি বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নে সাঁকোয়া গ্রামে। তিনি একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও এনা গ্রæপের চেয়ারম্যান।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরচারী হাসিনা দেশ থেকে ভারতে পালনোর পর স্থানীয় আ’লীগ নেতারা পলাতক থাকে এই ধারাবাহিকতায় বাগমারায় একটি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে ঢাকার আদাবর এলাকায় নিজ বাসা থেকে র্যাব সদস্যরা।
বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, র্যাব কর্তৃক বাগমারা থানার মামলার রেফারেন্স সাবেক সদস্যরা সংসদ সদস্য এনামুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকার আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তাকে ঢাকার আদালতে নেয়া হবে। পরে রিমান্ড মন্জুর হলে তাকে রাজশাহীতে আনা হবে। এতে দুই/চার দিন দেরী হতে পারে। এছাড়া মামলাল অন্য আসামীরা আত্ম গোপনে রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.