নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে থানা থেকে আসামি ছাড়ানোর চেষ্টাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দলটি।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একটি গ্রুপ আসামি ছাড়ানোর পক্ষে তদবির করছিল, অন্য গ্রুপ এর প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষ বাঁধে।
ভিডিও ফুটেজ ও সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হলে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আসলাম সরকার, জয়নাল আবেদীন শিবলী, রাজশাহী বিভাগের কৃষক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আল-আমিন সরকার টিটু, মহানগর বিএনপি সদস্য মনিরুজ্জামান শরীফ ও শাহমখদুম থানার বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. জিল্লুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় আল-আমিন সরকার টিটু অভিযোগ করেন, বৈশ্বম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাশকতা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি রাজশাহী জেলা ট্যাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম। তাকে ছাড়াতে বিএনপির কিছু নেতা তদবির করছিলেন, যা তারা মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে থানার ভেতরে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আবুল কালাম তাকে লাথি মারেন।
অপরদিকে, শাহমখদুম থানার বিএনপির সাবেক আহ্ববায়ক জিল্লুর রহমান জানান, আবুল কালাম একসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা এ বিষয়ে জানান, সংঘর্ষের সময় প্রায় ৫০ জন নেতা-কর্মী থানা প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন এবং এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডার মধ্যে কৃষক দলের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন সরকার টিটুর ওপর হামলা করেন আসামি আবুল কালাম। এ হামলার পেছনে মহানগর বিএনপির কিছু নেতার ছত্রছায়া থাকার অভিযোগ করেছেন তিনি। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে এবং দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট পাঁচ নেতার কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) / রাজশাহী। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.