বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:গণহারে দলত্যাগ করছেন ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। হাজার হাজার সেনা পালিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় বাহিনীতে সঙ্কট সৃষ্টির পাশাপাশি কিয়েভের যুদ্ধ পরিকল্পনা ‘পঙ্গু’ হয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সৈন্যদের পাশাপাশি আইনজীবী এবং এক ডজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বেশিরভাগই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন।
সেনাদের পালায়নের সমস্যাটি কেন এত তীব্র হয়ে উঠেছে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ৭২তম ব্রিগেডের এক কর্মকর্তা মার্কিন বার্তা সংস্থাকে বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে আমাদের জনগণের কাছ থেকে সর্বোচ্চ নিংড়ে নিয়েছি।’
এপি জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় এক লাখেরও বেশি সৈন্যের তালিকা তৈরি করেছে, যাদের প্রায় অর্ধেক বিরুদ্ধে পলায়নের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর প্রায় অর্ধেক কেবল এই বছরই পদত্যাগ করেছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ততে পারে।
ইউক্রেনীয় এক সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, পদত্যাগ করা ও পালিয়ে যাওয়া সৈন্যের সংখ্যা দুই লাখের মতো হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে পুরো ইউনিট তাদের ফ্রন্টলাইন ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
কিয়েভভিত্তিক সামরিক বিশ্লেষক ওলেকসান্দার কোভালেঙ্কো বলেন, এই সমস্যা জটিল। যুদ্ধের তৃতীয় বছর চলছে এবং এই সমস্যা কেবল বেড়েই চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আরও সেনা মোতায়েন এবং ১৮ বছরের কম বয়সীদেরও বাধ্যতামূলক করার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
যুদ্ধ সমাবেশ অভিযান শুরু হওয়ার আগে আনুমানিক ৩ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা যুক্ত ছিল। সামরিক বিষয়ে জ্ঞান রাখেন এমন একজন আইনপ্রণেতা অনুমান করেন, এর মধ্যে ২ লাখের মতো সেনা পালিয়ে যেতে পারে।
তিনি জানান, চিকিৎসা ছুটি পাওয়ার পর অনেকে সেনা ফিরে আসেন না। যুদ্ধের স্থায়িত্বে হাড়ে-হাড়ে ক্লান্ত, তারা মানসিকভাবে ক্ষতবিক্ষত। তারা যুদ্ধ করার ইচ্ছা জোগাতে পারে না, হতাশা অনুভব করে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.