বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির বিষয়টি এখন রাশিয়ার ওপর নির্ভর করছে। তবে ৩০ দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাশিয়া সম্মত না হলে মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কির দাবির প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মস্কো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সমর্থন না দিলে দেশটির ওপর ব্যাপক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে হাঁটতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রস্তাবের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রাশিয়া যাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ।
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সৌদি আরবের জেদ্দায় মার্কিন ও ইউক্রেনীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইউক্রেন। এখন যুদ্ধবিরতি হবে কি না, সেটা নির্ভর করছে রাশিয়ার ওপর।
ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও এখনও এ বিষয়ে কিছু জানায়নি রাশিয়া। সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাশিয়া সম্মত না হলে দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাশিয়া যুদ্ধ না শান্তি চায় এবারই তা সবার সামনে স্পষ্ট হবে।
যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেও পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া-ইউক্রেন। দোনেৎস্কে অভিযান জোরদারের কথা জানিয়েছে মস্কো। এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, নতুন করে অঞ্চলটির কয়েকটি বসতি দখলে নিয়েছে তারা। এছাড়া রুশ সেনারা হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রিহ রিহতে। এতে কয়েকজন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
কুরস্ক অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে, রাশিয়া এমন দাবি করলেও জেলেনস্কি বলছেন, তার সেনারা অঞ্চলটিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে রুশ বাহিনী সেখানে অভিযান জোরদার করেছে বলেও স্বীকার করেন জেলেনস্কি।
এদিকে চলমান হামলা পাল্ট হামলার মধ্যেই কুরস্ক অঞ্চল সফরে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, কুরস্কে ইউক্রেনীয় সেনাদের আটক করা হলে তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করা হবে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.