বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফিনার দাবি করেছেন, পাকিস্তান এমন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে যা দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে পারবে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও আঘাত হানতে সক্ষম। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
পাকিস্তানের ‘উদ্দেশ্য’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ফিনার বলেন, ‘সত্যি বলতে এই বিষয়টি দেখে আমাদের মনে হচ্ছে পাকিস্তানের এসব কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকিতে পরিণত হচ্ছে।’
রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং চীনের নাম উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে পারে এমন ক্ষেপণাস্ত্রসহ পারমাণবিক সশস্ত্র রাষ্ট্রগুলোর সংখ্যা ‘খুব কম এবং তারা প্রতিপক্ষ হতে পারে’।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং অকপটে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি উদীয়মান হুমকি ছাড়া পাকিস্তানের পদক্ষেপগুলিকে অন্য কিছু হিসাবে দেখা আমাদের পক্ষে কঠিন।’
ফিনার বলেন, পাকিস্তান দীর্ঘ-পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেম থেকে শুরু করে সরঞ্জাম পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি অনুসরণ করছে- যা উল্লেখযোগ্যভাবে বড় রকেট মোটর পরীক্ষা করতে সক্ষম হবে।
এরআগে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বুধবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এ দেশটির দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক-ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ব্যাহত হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের চারটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার মধ্যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন প্রতিরক্ষা সংস্থাও আছে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্তার বা সরবরাহ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, একটি নির্বাহী আদেশের অধীনে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং সেগুলো সরবরাহের উপায়গুলোকে লক্ষ্য করে’ পাকিস্তানের জাতীয় উন্নয়ন কমপ্লেক্স এবং তিনটি সংস্থার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.