যারা অত্যাচার, নির্যাতন করেছে তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করা হবে : মিলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা এই মাঠে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্যে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে প্রোগ্রাম করতে গেলে তেমন লোক পাওয়া যেতনা। অনেকে আওয়ামীলীগের ভয়ে নিশ্চুপ ছিলেন। কেউ আবার প্রকাশ্যে না এসে তলে তলে আওয়ামীলীগের সাথে থেকে ফায়দা লুটেছেন তাদের এখন অনেককে প্রোগামে দেখা যাচ্ছে। এটা দলের জন্য খারাপ নয়। তবে যারা দীর্ঘ সতের বছরে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন, অনেক মামলার আসামী হয়েছেন, জেল খেটেছেন, অমানবিক নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং রাতের পর রাত বাড়িতে ঘুমাতে পারেননি তারা ছাড়া অন্য কাউকে সামনে না আসার জন্য রোববার দর্শনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে দর্শনপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন নিষেধ করেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সাড়ে এগার লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে পাচার করেছে। কুইক রেন্টালের নামে ছিয়াআশি হাজার টাকা পাচার করেছেন। দর্শনপাড়াতে যারা অন্যায় ও অত্যাচার করেছে, দস্যুবাজি করেছে তারা আর সেইভাবে রাজনীতি করতে পারবেনা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার যদি কেউ ঘনঘটা আনার চেষ্টা করে তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। সবাইকে সাথে নিয়ে তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি অন্য কারো দল করেনা। বিএনাপি ইতিহাসের রাখাল রাজা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল করেন। আর তারা তারুন্যের অহংকার আগামীর রাষ্ট্রনায়ক বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা পালন করেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ৫আগস্টে সেদিন ছোট কাপড় পরে যারা পালিয়েছিলো। সেই আওয়ামীলীগকে এখনো মনে পোষন, শেখ মুজিবকে আব্বা মনে করেন এবং স্বৈরাচার খুনি হাসিনা টুপ করে দেশে ফিরে আসবে বলে মনে করেন তারা মূলত বোকার সর্গে বসবাস করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা আসবেনা। কিন্তু তাকে আনা হবে। যদি আয়না ঘরে থাকতে চান,তারা আওয়ামীলীগের তোষন করেন। তিনি আইন শৃংখলা বাহিনীকে উদ্যেশ্যে করে বলেন, আগের দিন নেই। স্বৈরাচারের তোষন ও মোষন ছাড়েন। না হলে কি হবে বলা যাবেনা। এগুলো বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি। আর যারা চটকদার আছেন সেগুলো বন্ধ করে সোজাপথে থাকেন। না হলে ভবিষ্যৎ কেমন হবে বুঝে নেন।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দল। জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। এ লক্ষে আগামী ফেব্রæয়ারী মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে আসা কোনদিন পছন্দ করেনা। সেজন্য আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের তিনশটি আসনেই মনোনয়ন দেয়া হবে। যে ধানের শীষ পাবেন তার হয়ে কাজ করবেন বলে জানান তিনি। সেইসাথে সবাইকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান। নেতাকর্মী ও অন্যান্যদের পাড়ায় মহল্লায় বিভ্রান্ত ছড়ানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন তিনি। শেষে তিনি নতুন করে আরো ত্রিশ হাজার সদস্য করা হবে। সেইলক্ষে ফরম দেয়ার কথা বলেন। সেইসাথে ৩১দফা কর্মসূচীর নিয়ে একটি বড় করে সমাবেশ করার মধ্যে দিয়ে ফরম পুরন করা হবে বলে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।
দর্শনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক ও পবা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম মাস্টারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী জেলা শাখার আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, বিএনপি নেতা রমজান আলী, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আয়নাল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলা বক্স সরকার।
দর্শনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদ আলী মাস্টার এবং আজাবুর রহমান শামীম এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন যুব নেতা কামরুজ্জামান মাস্টার, মোর্শেদ মাস্টার, প্রভাষক মুখলেসুর রহমান, পিয়ারুল, জুয়েল, বাবু, শামীম, জহুরুল ও রিপন দর্শনপাড়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক আকমল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন লালন ও আনারুল ইসলাম, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রুমেলসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.