মৎস্য খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপান

বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিশেষ করে মৎস্য খাতে সহযোগিতা প্রদান ও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এ আগ্রহের কথা জানান। সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান যে ভূমিকা পালন করছে, তা নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত। দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা আমরা আরও সামনে এগিয়ে নিতে পারি। দুদেশের জনগণ এবং উভয় দেশের সরকারের মধ্যে বিদ্যমান বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আগামী বছরগুলোতে আরও শক্তিশালী হবে।’
এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘ বন্ধুত্বের ইতিহাস আছে। বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিশেষ করে মৎস্য খাতে জাপান সহযোগিতা দিতে আগ্রহী।’ এ বিষয়ে দুদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে যৌথ পরামর্শসভা হতে পারে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে দুদেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ থাকায় এক দেশে অন্য দেশে সহজেই পণ্য পরিবহণ সম্ভব বলেও জানান।
বাংলাদেশে খাদ্য পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী  বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। ভবিষ্যতে জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। যার মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ইত্যাদি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপক সুযোগ রয়েছ।’
এ সময় বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে জাপানী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলেও জাপানের রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন মন্ত্রী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, যুগ্ম সচিব অন্দ্রিয় দ্রং, নীলুফা আক্তার ও ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের তৃতীয় সচিব শিমমুরা কাৎসুমি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মো: লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.