মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: বৃষ্টি ও ভারতের উজানের ঢলে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী নদী বেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলার বন্যার পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। জেলার কুশিয়ারা, মনূ, ধলাই ও জুড়ী নদীর কিছুটা কমলে ও ৪টি নদীর ১৫টি ভাঙ্গন দিয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
জেলার ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জুড়ী নদী বিপদসীমার প্রায় ২ মিটার উপর ও ধলাই নদী বিপদসীমার ২৪ সে:মি: উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও কুশিয়ারা নদীতে কিছুটা বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে ও গেল দুই দিনে পানি বেড়েছে প্রায় ২ মিটার।
দুদিনের টানা বৃষ্টিতে হাওর ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে সাধারণ মানুষকে আবারও দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে, লাগাতার বৃষ্টি থেমে গেলে নদীতে পানি কমে যাবে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বিটিসি নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি হওয়াতে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি ও নীচে নেমে যাবে। গতকাল ২২ আগস্ট বিকেলে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল চৌধুরী আজিজুল হক হাজারী ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম প্রাব্লিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসন সুত্র জানায় জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ২৩৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১২লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.