মেসির আকাশচুম্বী বেতনে চাপা পড়ে গেছেন রোনালদো-নেইমারও

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ককেউ বলেন মেসি , কেউবা বলেন রোনালদো। গত একদশকের চেয়েও বেশি সময় ধরে ভক্তদের মাঝে দুই ফুটবল জাদুকরকে নিয়ে চলে বাক-বিতর্কের লড়াই।

এই বিতর্ক শুধু ভক্তকূলের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, জড়িয়ে পড়েন কিংবদন্তীরাও। তবে আজকে ভক্তদের জন্য খেলায় নয়, তুলে ধরা হলো, ফুটবল শিল্পের দুই আর্টিস্ট মেসি-রোনালদোর বেতনের দিক থেকে কে সেরা।

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনভুক্ত খেলোয়াড়ের তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন ফুটবলের অ্যালিয়েনখ্যাত লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। তার বেতন দেখে আঁতকে উঠতে পারেন নেইমার-রোনালদো ভক্তরা।

বেশি বেতনের দিক থেকে, মেসির আকাশচুম্বী বেতনে চাপা পড়ে গেছেন রোনালদো-নেইমারও। খেলা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, বেতনে সবাইকে চাপিয়ে তাদের দু’জনকে চাপিয়ে মেসিই সেরা।

মেসি ইউরোপের সেরা ক্লাব বার্সেলোনায় খেলেন। ইউরোপিয়ান ক্লাব বার্সালোনা মেসিকে প্রতি বছর ১৩০ মিলিয়ন পাউন্ড বেতন দিয়ে থাকে, যা বাংলাদেশী ১ হাজার দুইশত ৩৬ কোটি টাকার পরিমাণ। প্রতিমাসে গড়ে ১০.৮ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশী ১০৩ কোটি টাকা) মেসির বেতন ধার্য হয়।
তারপরই রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই ফুটবলার দীর্ঘ সময় রিয়াল মাদ্রিদে কাটিয়েছেন। ইউরোপিয়ান লিগ সিরি-এ ক্লাব জুভেন্টাস ১২০ মিলিয়ন পাউন্ডে রিলিজ ক্লজে কিনে নেয়।
জুভেন্টাসে রোনালদোর বার্ষিক বেতন ১১৩ মিলিয়ন পাউন্ড, যা বাংলাদেশী ১ হাজার কোটি টাকার পরিমাণ। মাসিক বেতন ৯.৪ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশী ৮৯ কোটি টাকা) বেতন দিয়ে থাকে জুভেন্টাস।

মেসি-রোনালদোর পর রয়েছে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার নেইমার। বার্সেলোনা থেকে ২২২ মিলিয়ন রিলিজ ক্লজে পিএসজিতে যান নেইমার।

যদিও নেইমার রিলিজ ক্লজে বিশ্বের দামি খেলোয়াড়ে বনে গেছেন; কিন্তু বেতনের দিক থেকে মেসি-রোনালদোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে।

নেইমারকে পিএসজি বার্ষিক বেতন দিয়ে থাকে ৯১.১ মিলিয়ন পাউন্ড, যা বাংলাদেশী ৮শ’ কোটি টাকার পরিমাণ। মাসিক বেতন ৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশী ৭০ কোটি টাকা)।

নেইমারের পরেই রয়েছেন, অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ও ফ্রান্সের অন্যতম স্ট্রাইকার অ্যান্টনিও গ্রীজম্যান। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ গ্রীজম্যানকে বার্ষিক ৪৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড বেতন দেয়, যা বাংলাদেশি ৪শ’ কোটি টাকা থেকেও বেশি হয়।মাসিক বেতন ৩.৬ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি ৩০ কোটি টাকা)।

গ্যারেথ বেল রিয়াল মাদ্রিদের এই ফুটবলারকে বার্ষিক ৪০.২ মিলিয়ন পাউন্ড বেতন দেয় রিয়াল, যা বাংলাদেশি ৩শ’ ৮০ কোটি টাকা। মাসিক বেতন ৩.৩ মিলিয়ন তথা বাংলাদেশী ২৫ কোটি টাকা।

যদিও নেইমার রিলিজ ক্লজে বিশ্বের দামি খেলোয়াড়ে বনে গেছেন। বলা হচ্ছে, মেসি যদি রিলিজ ক্লজে অন্য দলে যেতেন, তবে সেই রেকর্ডটি গড়ার কারিগর মেসি সেই রেকর্ডটিও নিজের করে নিতেন।

ম্যানচেস্টার সিটি মেসিকে ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো অপার করেছিলো, তবে নিজের শৈশবের ক্লাবকে ভালোবেসে, টাকার কাছে নিজেকে বিক্রি না করে, বার্সাতেই ক্যারিয়ার শেষ করতে চান মেসি।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.