মেসির অভাব বুঝতে দিলেন না এমবাপ্পে-নেইমাররা

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: লা লিগা ছেড়ে ফ্রেঞ্চ লিগে এসে নিজের জাত চেনাতে পারছেন না লিওনেল মেসি। নতুন দল পিএসসির হয়ে গোলের অভিষেক এখনও ঘটেনি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। তার ওপর চোটে পড়ে মোঁপেলিয়ের বিপক্ষে ম্যাচেও ছিটকে গেছেন তিনি।
তাই আজ রবিবারের ম্যাচে এমবাপ্পে-নেইমারই ছিলেন পিএসজির ভরসা। দুজনের একজনও গোলের দেখা না পেলেও তাদের সতীর্থরা মেসির অভাব বুঝতে দেননি।
তারকায় ঠাসা পিএসজি। মেসি ইনজুরিতে। নেইমার-এমবাপ্পে গোল পাননি তাতে কী। ইদ্রিসা গেয়ি ও ড্র্যাক্সলারের গোলে মোঁপেলিয়েকে ২-০ গোলে হারিয়েছেন ফরাসি জায়ান্টরা। এই জয়ের ফলে টানা ৮ ম্যাচে জয় পেল পিএসজি।
প্রথমার্ধে এমবাপ্পে ও নেইমারকে বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন আনহেল ডি মারিয়া ও আন্দের এরেরা। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে দেন তারা। এ দুই মহাতারকার মধ্যে সমন্বয়হীনতাই পিএসজিকে গোল পেতে দেয়নি।
প্রথমার্ধে ১১টি শট নিতে পেরেছে পিএসজি, যার তিনটি ছিল লক্ষ্যে। বাদবাকি সবই ছিল এলোমেলো।
অবশ্য ম্যাচ শুরুর ১৪ মিনিটেই দলকে লিড এনে দেন ইদিসা। ডি মারিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন ইদিসা। ঝাঁপিয়ে পড়েও বল ছুঁতেই পারেননি মোঁপেলিয়ের গোলরক্ষক।
৪১তম মিনিটে ডি-বক্সের মুখ থেকে আন্দের এরেরার বুলেট গতির শট ক্রসবার কাঁপায়। যোগ করা সময়ে নেইমারের দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন মোঁপেলিয়ের গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করে পিএসজি। ৬০ থেকে ৬৬ মিনিটের মধ্যে তিনটি ভালো সুযোগ হাতছাড়া করেন নেইমার-এমবাপ্পে। প্রথমবার পাল্টা আক্রমণে আশরাফ হাকিমির কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে এমবাপ্পে কিছুই করতে পারেননি। পরের বার তালগোল পাকিয়ে বলে পা-ই ছোঁয়াতে পারেননি নেইমার।
এর আরও কিছু পর গোলরক্ষককে কাটিয়ে ফাঁকা জাল পেয়েও বল পাঠাতে পারেননি এমবাপ্পে।
৮৮তম মিনিটে ডি মারিয়াকে উঠিয়ে ড্রাক্সলারকে নামান কোচ পচেত্তিনো। তার বদলি হয়ে নেমেই গোল পেয়ে যান এই জার্মান মিডফিল্ডার। তার শট সফরকারী গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক গলে জালে জড়ায়।
গোটা ম্যাচে গোলের উদ্দেশে ১৬টি শট নেয় পিএসজি, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। আর মোঁপেলিয়ের ১০ শটের চারটি লক্ষ্যে ছিল।
এ ফলের পর আট ম্যাচে টানা অষ্টম জয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি। ছয় ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে মার্সেই। আট ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে রয়েছে মোঁপেলিয়ে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.