অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে প্রধান করে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা এই জন্মশতবর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন চ্যানেলে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করবে। কামাল চৌধুরী এদিন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেন, ১৭ মার্চ রাতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যেন একইসঙ্গে আতশবাজির আয়োজন করা হয়। একইসঙ্গে সেদিন টিভি চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো যেন সর্বস্তরের জনগণ দেখতে পারে, তার বন্দোবস্ত করতেও নির্দেশনা দেন তিনি। মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও যেন ভূমিহীন না থাকেন, তার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে গুরুত্ব দিতে নির্দেশনা আসে এই সভা থেকে।
কামাল চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে আমাদের আয়োজনগুলোর সঙ্গে যেন সেবা ও উন্নয়ন সম্পৃক্ত করা হয়। এই মুজিববর্ষে যেন হয়রানি ব্যতিরেকে দুর্নীতিমুক্ত সেবা দেওয়া হয় জনগণকে। সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হলেও তাতে যেন জনসমাগম বেশি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে বলা হয়েছে। ১৭ মার্চ একইসঙ্গে জাতীয় শিশু দিবসও। ওই দিন রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। দুপুরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশন করা হবে বিশেষ খাবার।
জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে কামাল চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সাইটে ভিডিও ফুটেজগুলো রয়েছে। আপনারা সেগুলো প্রচার করুন যেন তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর নানা অবদান সম্পর্কে অবহিত হয়।’ জন্মশতবার্ষিকীর নানা আয়োজনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে তরুণ প্রজন্মের সামনে উপস্থাপন করলে ‘জন্মশতবর্ষ আরও তাৎপর্যমণ্ডিত হবে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কামাল চৌধুরী বলেন, ‘স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য সারা বছর জুড়ে যে আয়োজন করা হবে, তাতে যেন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথাই বেশি তুলে ধরা হয়। এতে তারা ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে জানবে। আরও সচেতন মানুষ হবে।’ #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.