বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:কংগ্রেসে বিরোধের কারণে মার্কিন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সামরিক সহায়তা না পেলে ইউক্রেন বাহিনীকে রণক্ষেত্র থেকে কিছুটা পিছু হটতে হবে। শুক্রবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই কথা বলেছেন।
ওয়াশিংটন পোস্টকে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘মার্কিন সমর্থন না থাকা মানে আমাদের কাছে কোনো বিমান প্রতিরক্ষা নেই, কোনো প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র নেই, ইলেকট্রনিক যুদ্ধের জন্য কোনো জ্যামার নেই। এমনকি, নেই কোনো ১৫৫ মিলিমিটার গোরাবারুদ।’
তিনি বলেছিলেন, ‘এর মানে দাঁড়ায় আমরা পিছু হটব। ধাপে ধাপে, ছোট ছোট পদক্ষেপে। তবে যাতে পিছু হটা না লাগে এমন কিছু উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আমরা।’
সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি আরও বলেন, রণক্ষেত্রে যুদ্ধাস্ত্রের ঘাটতির মানে হলো ‘আপনাকে অল্প সরঞ্জামে কাজ চালাতে হবে। যদি প্রশ্ন করুন কীভাবে? অবশ্যই তা ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে। যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখভাগে সেনা কমাতে হবে। আর যদি এই লাইনটি ভেঙে যায় তবে রুশ সেনারা বড় শহরে ঢুকে যাবে।’
রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে দেশের অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করে কয়েক মাস ধরে এটি ঝুলিয়ে রেখেছেন হাউস স্পিকার মাইক জনসন।
গত মাসে পূর্বাঞ্চলীয় শহর আভদিভকা দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এরপরই অল্পই অগ্রগতি করেছে বাহিনীটি। তবে যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখভাগে কয়েক মাসে সামান্য কিছু পরিবর্তন এসেছে।
সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ইউক্রেন দেশীয় অস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রের অভাব পূরণ করছে। তবে এটি পর্যাপ্ত নয়।
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর মধ্যে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও অন্যান্য অবকাঠামোতে আক্রমণের গতি তীব্র করেছে দেশটি। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.